মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসরায়েলকে থামাতে যে পদক্ষেপের পরামর্শ দিলেন এরদোয়ান পুলিশ দেখে সিএনজি থেকে যাত্রীর চিৎকার, ধরা পড়ল তিন ছিনতাইকারী জয়-পুতুল-ববির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ ডিএমপির পাঁচ ডিসিকে বদলি-পদায়ন ডেঙ্গুরোগী বেশি দক্ষিণ সিটিতে, ঢাকার বাইরে শীর্ষে চট্টগ্রাম আরও ৩০ মেডিকেল ডিসপেনসারি উদ্বোধন সেনাপ্রধানের মহানবি (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারী যুবক গ্রেপ্তার থাইল্যান্ডে বাসে আগুন লেগে ২২ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর শঙ্কা সাবেক হুইপ মাহবুব আরা গিনি তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি নাজিমকে হত্যার চেষ্টা : ৫ দিনের রিমান্ডে জ্যাকব চীনে ওয়ালমার্টে ছুরিকাঘাতে নিহত ৩, আহত ১৫ সাগর-রুনি হত্যা: শিশির মনিরসহ লড়বেন ৯ আইনজীবী সাবেক এমপি জিন্নাহ ও কবির বিন আনোয়ারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পুলিশ, বিজিবি ও আনসারে আসছে বড় নিয়োগ ঢাকায় একদিনে ট্রাফিক আইনে ৯৩৪ মামলা, জরিমানা সাড়ে ৩৫ লাখ টাকা গুজব ছড়িয়ে সংঘর্ষের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে: আসিফ মাহমুদ ব্যাটিং ব্যর্থতায় আড়াই দিনের টেস্টেও লজ্জার হার বাংলাদেশের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার ড. দীলিপ নাথ ‘সুপারশপে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ যুগান্তকারী উদ্যোগ’ নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

দূর্দান্ত জয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

আসরে টিকে থাকতে জয়টা বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য  ছিল। আর হারলেই শেষ এশিয়া কাপ মিশন। ধরতে হবে বাড়ির পথ। এমন সমীকরণ সামনে রেখে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। অবশেষে যাদের কাছে দেশের মাটিতেই সিরিজ হেরেছিল, তাদের বিপক্ষেই দূর্দান্ত জয় দিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

কেটে গেল শঙ্কা।  আর দূর হয়েছে সংশয়। অন্তত এখনি বাড়ি ফিরতে হচ্ছে না, বেঁচে রইল শিরোপা জয়ের প্রত্যাশাও। সমীকরণের সব মারপ্যাঁচ দূর করে দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার ফোরে পা রেখেছে বাংলাদেশ। ডু অর ডাই ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৮৯ রানে।

১৬ বছর পর রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবুও এমন এক ম্যাচ, যেখানে জিততেই হতো টাইগারদের।

এমন বাঁচা-মরা ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান তুলে স্কোরবোর্ডে। যা নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসেরই তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান থামে ২৪৫ রানে।

এই ম্যাচে সেঞ্চরি হাঁকান মেহেদী মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। বদৌলতে পঞ্চমবার একই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি দেখল দেশের ক্রিকেট। দু’জনে মিলে গড়েন নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ ২১৫ রানের জুটি। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যা সর্বোচ্চ। তাদের এমন রেকর্ড গড়া ব্যাটিংয়েই এমন রান পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ।

অবশ্য প্রথম ওভারেই ফজলে হক ফারুকির থেকে ১৪ রান নিয়ে দিনের শুরুতেই ভিন্ন কিছুর বার্তা দেয় বাংলাদেশ, জানান দেয় নিজেদের আত্মবিশ্বাস। পাওয়ার প্লেতে ৬০ রান তুলে তা আরো মজবুত করে তুলে নাইম শেখ ও মেহেদী মিরাজের উদ্বোধনী জুটি।

গত ছয় ম্যাচে পঞ্চমবারের মতো পরিবর্তন হয় টাইগারদের উদ্বোধনী মুখ। ২০১৮ এশিয়া কাপের পর প্রথমবার ব্যাট হাতে ইনিংস উদ্বোধন করতে আসেন মেহেদী মিরাজ। প্রমোশন পেয়ে ভরসা রাখেন তিনি, তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক।

নাইম শেখের সাথে বেশ ভালোই জমে উঠেছিল তার উদ্বোধনী জুটি। পাওয়ার প্লের শেষ বলে নাইম ফেরার আগে ৬০ রান যোগ করেন দু’জনে। ক্যারিয়ার সেরা ৩২ বলে ২৮ রান করেন নাইম। এরপর অবশ্য দ্রুত ফেরেন তাওহীদ হৃদয়। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবার ডাক মেরে ফিরেন এই ব্যাটার।

৬৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন মিরাজ। তাদের এই জুটি আর ভাঙতে পারেননি আফগান বোলাররা। যদিও মিরাজ ৪২.১ ওভারে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরলে থামে এই জুটি। তবে ততক্ষণে ২০৫ বলে ২১৫ রান যোগ হয়েছে স্কোরবোর্ডে। মিরাজ হাতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ১১৯ বলে ১১২ করে।

মিরাজ উঠে যাওয়ার পর পরই শতক তুলে নেন শান্ত। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৮৯ রান করে আউট হলেও এদিন রশিদ খান-মুজিবুর রহমানদের হতাশ করে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন তিনি। যদিও তার ইনিংসটা এরপর আর বড় হয়নি, রান আউট হয়ে ফেরেন ১০৫ বলে ১০৪ রানে। দলীয় সংগ্রহ তখন ৪৪.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৭৮।

এরপর বাকি কাজটা করেন সাকিব-মুশফিক, ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন এই দুই ব্যাটার। যদিও ১৫ বলে ২৫ করে রান আউট হয়ে ফেরেন মুশফিক। রান আউট হন অভিষিক্ত শামিম পাটোয়ারীও, ৬ বলে ১১ রান করেন তিনি। ১৮ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র এক রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ব্যক্তিগত ১ রানে এলবিডব্লিউ ফাঁদে ফেলেন তাকে।

তবে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় ৭৯ রান পর্যন্ত। রহমত শাহ আর ইবরাহিম জাদরান মিলে ৭৮ রানের জুটি গড়ে তুলেন ৯৯ বলে। যা ম্যাচে রাখে আফগানিস্তাকে। ১৮তম ওভারে এসে ওই জুটি ভাঙেন তাসকিন। ৫৭ বলে ৩৩ রান করা রহমত শাহকে ফেরান তিনি।

তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ইবরাহিম জাদরান। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান করতে থাকেন তিনি। ২৮তম ওভারে এসে ফিরিয়ে দলে স্বস্তি আনেন হাসান মাহমুদ। যদিও হাসান নয়, এই উইকেটের কৃতীত্ব লিখে দেয়া যায় মুশফিকের নামে। উইকেটের পেছন থেকে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৭৪ বলে ৭৫ রান করেছেন ইবরাহিম।

শুরুতে ধীরে খেললেও সময়ের সাথে সাথে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি। তুলে নেন ফিফটি। তবে এরপর আর ইনিংস টানতে পারেননি, শরিফুলের শিকার হয়ে ফিরেছেন তিনি। ৬০ বলে ৫১ রান করেন শাহিদি। এর আগের ওভারে (৩৭তম) মিরাজ ফেরান নাজিবুল্লাহ জাদরানকে। ২৫ বলে ১৭ রান আসে তার ব্যাটে।

এরপর টানা তিন ওভারে ৩ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। নাবি ৩, গুলবাদিন নাইব ১৫ ও করিম জানাত ফেরেন ১ রান করে। ৪৫ তম ওভারে তিন বলের মাঝে শেষ ২ উইকেট তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন তাসকিন। রশিদ খানের ব্যাটে আসে ১৫ বলে ২৪ রান।

৮.৩ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ৯ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট গেছে শরিফুলের ঝুলিতে। একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদী মিরাজ।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com