বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাক্ষীদের শপথ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করায় এই মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্যের শুনানি পিছিয়েছেন আদালত।
আজ পুরান ঢাকার বকশি বাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ- ৩ এর অস্থায়ী আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ২৬ জানুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাক্ষীদের শপথ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদনের বিষয়টি জানিয়ে বিচারিক আদালত বিশেষ জজ আদালতে সময় আবেদন করেন।
আবু আহমেদ জমাদারের আদালত শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করে ২৬ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন।
এদিকে আজ একই আদালতে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন দুদকের সহকারি-পরিচালক নুর আহমেদকে জেরা করছেন তার আইনজীবীরা।
এসময় জেরায় তিনি আদালতকে জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধানের প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ ছিল না এবং অভিযুক্তদের তালিকার প্রতিবেদনেও তার নাম ছিল না।
পরে আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিনও ২৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সব আসামিকে ওই দিন আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেন।
আজ বেলা পৌনে ১১টায় পুরান ঢাকার বকশি বাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ- ৩ এর অস্থায়ী আদালতে পৌঁছেন খালেদা।
এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।
বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার-এর আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এরপর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু করেন আদালত।
খালেদা জিয়া ছাড়া মামলায় অপর আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এর মধ্যে হারিছ চৌধুরী পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়া অপর দুই আসামি জামিনে আছেন।
অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরো একটি মামলা করে দুদক।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস