বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির ব্যয় মেটাতে সরকার বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যে তিন দফা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির কারণে যে ব্যয় বেড়েছে তার ঘাটতির জোগান দিতে জনগণের পকেট কাটতে এই দাম বাড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে, আর দেশের মানুষ খাদ্যের অভাবে ভুগছে। বাংলাদেশে শ্বাসরুদ্ধকর ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি চলছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষায় আন্দোলন করে সরকারের বিদায় করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে বরিশাল বিভাগের বিএনপি থেকে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এয়ারভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, চাল, ডাল, তেলের দাম প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। বাংলাদেশে শ্বাসরুদ্ধকর ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি চলছে। বিএনপি কয়েক ধাপের আন্দোলনে এই পর্যায়ের পরিণতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে চায়। কারণ আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা ধরে রেখে বাংলাদেশকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে এখন কারো নিরব থাকার সুযোগ নেই। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন এগিয়ে নেওয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ