বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার নেসারুল হক খোকন ও যমুনা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ তুহিনকে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের দেয়া হত্যার হুমকির পর কেন জিডি নিচ্ছে তা তা খতিয়ে দেখা হবে।
হত্যার হুমকির ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ভাটারা থানায় হাজির হয়ে এই ২ সাংবাদিক জিডির আবেদন করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই আবেদন এন্ট্রি হয়নি।
এ অবস্থায় রোববার দুপুরে ডিআইজি মিজানের হত্যার হুমকি পাওয়া দুই সাংবাদিকের জিডি না নেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে সাংবাদিক নেসারুল হক খোকন গত বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে তাকে হুমকির বিষয়টি অবহিত করেন।
এ সময় খোকনকে অশ্লীল ভাষায় গালিসহ ডিআইজি মিজানের হত্যার হুমকি সংক্রান্ত অডিও রেকর্ড স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে শোনানো হয়। তিনি খোকনকে পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেন।
এরপর বৃহস্পতিবার নেসারুল হক খোকন ও আব্দুল্লাহ তুহিন ভাটারা থানায় হাজির হয়ে জিডির আবেদন জমা দেন। থানায় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এসআই হাসান বলেন, ওসি সাহেবসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা মিটিংয়ে আছেন। তারা এলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিকাল ৪টার দিকে ওই কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন, ‘ওসি সাহেব বলেছেন ডিআইজি মিজান স্যারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। তারাই বিষয়টি দেখবেন। এ বিষয়ে তাদের কিছুই করার নেই।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এক নারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক বিয়ে এবং ওই নারীর ওপর নির্মম নির্যাতন করার বিষয়ে দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের দায়িত্ব থেকে ডিআইজি মিজানকে প্রত্যাহার করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ডিআইজি ২ সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস