ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের খেলাপি থেকে মুক্তির বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণের দুই শতাংশ পরিশোধ করলেই নিয়মিত থাকবে ঋণ। তবে পরবর্তী বছরে ওই ঋণ শোধ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব এবং বিবিধ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ঋণগ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনেক ঋণ যথাসময়ে আদায় হচ্ছে না। ফলে তা বিরূপমানে শ্রেণিকৃত হয়ে পড়ছে। একই সঙ্গে ঋণের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ আদায় কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন, তারল্য পরিস্থিতি উন্নয়ন ও আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ ভিত্তিক ‘মন্দ বা ক্ষতি’ মানে শ্রেণিকৃত ঋণ স্থিতির ন্যূনতম দুই শতাংশ অর্থ ডাউন পেমেন্ট জমা দিয়ে এক্সিট সুবিধার আবেদন করতে হবে।
এতে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ সমন্বয়ের জন্য এক্সিট সুবিধা মঞ্জুরির সময় থেকে সর্বোচ্চ এক বছর সময় করা যাবে। উক্ত মেয়াদের মধ্যে এককালীন/মাসিক/ত্রৈমাসিক কিস্তিতে অর্থ আদায় করা যাবে।
এক্সিট সুবিধা মঞ্জুরির পর থেকে ঋণ সমন্বয় পর্যন্ত আদায়যোগ্য অর্থের ওপর কস্ট অব ফান্ড হারে সুদ আরোপ করা যাবে। তবে উক্ত সুদ আদায় না করে আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। ঋণের অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত হিসাবটি পূর্বের ন্যায় ‘মন্দ বা ক্ষতি’ মানে শ্রেণিকৃত থাকবে।
এ সুবিধাকালে গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে ঋণের আরোপিত সুদ সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ, অনারোপিত সুদ, দণ্ড সুদ বা অন্য কোনো চার্জ মওকুফ করা যাবে। তবে এসময়ে কোনোক্রমেই ঋণের আসল অর্থ মওকুফ করা যাবে না।
এক্ষেত্রে মওকুফকৃত সুদ একটি পৃথক সুদবিহীন ব্লকড হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে। নীতিমালার শর্তানুযায়ী ঋণের সমুদয় অর্থ আদায়ের পর ব্লকড হিসাবে রক্ষিত অর্থ মওকুফ হিসেবে গণ্য হবে। সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং অনুবিভাগের নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে