বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় আটঘর ইউনিয়নসহ ৪/৫টি ইউনিয়নের গ্রামবাসীরা অতিষ্ট ৪ নেতার অত্যাচারে। সাম্প্রতিক ৪ নেতার ইন্ধনে প্রথমে হামলা চালিয়েছে আটঘর ইউনিয়নের বাচ্চু মাতুব্বরের বাড়ি। তার বাড়ির আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকার, ফ্রিজ, দুটি মটর সাইকেল ও ঘরের বিভিন্ন অংশ কুপিয়েছে এই গ্রুপটি।
তারা হচ্ছে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর এপিএস শফি, সালথা আওয়ামী লীগ নেতা চৌধুরী সাব্বির আলী, ওয়াদুদ মাতুব্বর ও উপজেলা চেয়ারম্যান ওহিদের নেতৃত্বে।
ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্যরা হলেন, জয়ঝাপ গ্রামের আবুল খায়ের, বিল্লাল মাতুব্বর, মোজাম্মেল, বকু মিয়া, মুছা মেম্বার, সাবের গট্টির জালাল খাঁ, জাহিদ খাঁ, বাগবাড়ির আলম মোল্লা, খায়রুল মোল্লা, কামাল মোল্লা, নয়াকান্দির আক্কাস, আরশেধ, হিরু মোল্লা, তোতা মোল্লা গংদের।
এলাকার আওয়ামী লীগের এলাকা ভিত্তিক দলীয় কোন্দলের কারণে এধরণের হামলা, ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটছে। দুই মাসে প্রায় ২ শতাধীক ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট হয়েছে।
সালথা উপজেলাবাসীরা এখন আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। প্রায় ৫ শতাধীক এলাকাবাসী ফরিদপুরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। এদের আশ্রয় দেওয়ার মত কোনো নেতাকর্মীকে পাওয়া যায়নি বলেও তারা জানান।
তারা আরো জানান, আমাদের সালথা, নগরকান্দা থেকে যেসকল নেতারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য গণসংযোগ করছেন সাবেক সাংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, অবসর প্রাপ্ত ইউং কমান্ডার কাজী দেলোয়ার হোসেন, মেজর অবসরপ্রাপ্ত আতম হালিম, আওয়ামী লীগ নেতা জামাল হোসেন মিয়া। তারা কেউ আমাদের এই দু:সময়ে কোনো খোঁজখবর রাখছেন না। সাম্প্রতিক খোঁজখবর নিয়েছিলেন ভোটের রাজনীতিতে। এখন কাউকেই কাছে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধুমাত্র আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন নগরকান্দার কৃতিসন্তান সাবেক ছাত্রনেতা, সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান।
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, সালথার কোথায়ও হামলা লুটতরাজের ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র বাচ্চু মাতুব্বরের বাড়িতে এ ধরণের একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা তার বাড়ির লুট হওয়া ফ্রিজটি উদ্ধার করে থানায় রেখেছি। বাচ্চু মাতুব্বরকে মামলা করার ও ফ্রিজটি নিয়ে যাওয়ার জন খবর দিয়েছি। কিন্তু তিনি এ পর্যন্ত থানায় এেেস অভিযোগ দায়ের করেন নি এবং ফ্রিজটিও নেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারীতে পুরো এলাকায় টহল দিচ্ছে।
সংসদ উপনেতার এপিএস শফি জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট, আমি সালথার আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে বাচ্চু মাতুব্বরের বাড়িসহ এলাকার কারো বাড়িতেই আক্রমন করার নির্দেশ দেইনি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস