বাংলা৭১নিউজ, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সোনালী ব্যাংকের দুই প্রহরীকে জবাই করে হত্যা মামলায় দীর্ঘ দু’বছরেও আদালতে চার্জশীট দেয়নি তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশীট প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেনে, এমনটাই জানালেন নিহতদের পরিবারবর্গ। বর্তমানে মামলাটি’র তদন্তভার রয়েছে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডিতে রয়েছে।
উল্লেখ্য- গত ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার কলারোয়া বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন সোনালী ব্যাংকের দুই প্রহরীকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। দিনটি ছিলো বুধবার, ২৭ রমজানের পবিত্র শবে কদরের রাত।
নিহত দুই প্রহরীর একজন জাহাঙ্গীর হোসেন (৩২)। তিনি কলারোয়া উপজেলার ঝাঁপাঘাট গ্রামের কায়েম হোসেনের ছেলে। অপরজন আসাদ (২৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। তারা দু’জনেই আনসার সদস্য হিসাবে কর্মরত ছিলেন ওই ব্যাংকে। এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। সে সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে মামলাটি সাতক্ষীরা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে মামলাটি সিআইডিতে রয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই ঘটনার দু’বছর পূর্তি হবে। কিন্তু এখন পযর্ন্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা হয়নি। চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক এ হত্যা কান্ডের তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ হোক। হত্যাকান্ডে জড়িতদের দষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এটাই প্রত্যাশা বিচারপ্রার্থীসহ সকলের।
কলারোয়ায় বাস চাপায় হেলপার নিহত
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপারের মৃত্যু হয়েছে। নিহত হেলপার সুমন আহম্মেদ (১৭) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের কলারোয়া উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে যশোর থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরামুখি যাত্রীবাহি বাস (যশোর- জ- ১১-০০২০) কলারোয়া উপজেলা মোড়ের বাসস্ট্যান্ডে বাস থামায়। এ সময় ওই বাসের হেলপার সুমন আহম্মেদ গাড়িটির দরজার পাশে দাড়িয়ে যাত্রী তুলছিলো। এমন সময় পিছন দিক থেকে দ্রুতগতির অপর একটি যাত্রীবাহি বাস (সিলেট- জ- ১১-০৩৫৬) হেলপার সুমনকে ধাক্কা মেরে ফেলে বাসটি তার দেহের ওপর দিয়ে চলে যায়। সুমনকে উদ্ধার কওে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে কলারোয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং ঘাতক বাসটি আটক করে। তবে চালকসহ হেলপার-কনট্রাক্টর পালিয়ে যায়। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
একযোগে ছয় বাড়ীতে চুরি
সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুরে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে একযোগে ছয় বাড়ীতে চুরি হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চোর আতংক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের বড়খামার গ্রামের আছের আলী ঢালীর পুত্র ইমরান হোসেনের ১টি এন্ড্রয়েড স্মার্ট ও ১টি বাটন মোবাইল, একই গ্রামের মৃত ওসমান কাজীর পুত্র আব্দুস সামাদের ১টি বাটন মোবাইল, এলাহী বক্স গাজীর পুত্র রমজান আলী গাজীর ১টি বাটন মোবাইল, আমিনুদ্দীন সরদারের পুত্র আলমগীর হোসেনের ১টি এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন, মেহের আলী সরদারের পুত্র জিয়ারুল ইসলামের ১টি বাটন মোবাইল ও ১টি এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন এবং উমরাপড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মোড়লের পুত্র বকুল মোড়লের ১টি এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন চোরেরা নিয়ে গেছে।
শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে কারোর বাড়ির বারান্দা, কামরা ও কারোর ঘরের দরজা খুলে চোরেরা এসব মোবাইল ফোন চুরি করেছে।
এদিকে, চুরির ঘটনার খবর পেয়ে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের এ,এস,আই সৈয়দ আলী শেখ শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এলাকার চিহ্নিত চোরদের ধরতে অভিযান শুরু করেছেন। তবে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ এখনো কোন চোরকে ধরতে পারেনি বলে জানা গেছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস