নীলফামারীতে দেখা যাচ্ছে শীতের আভাস। দিনভর প্রখর রোদে গাঁ পুড়লেও রাত নামতেই শীতল হয়ে আসে চারপাশ। কিছুটা সময় গড়াতে না গড়াতেই নেমে আসে কুয়াশা। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে জেলার বিভিন্ন বয়সী মানুষের মধ্যে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ। বাড়ছে ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
নীলফামারীর গ্রামীণ অঞ্চল ঘুরে দেখা যায় সবুজ ঘাসের বুকে শিশির কণা। শরীরে কিছুটা ভারি কাপড় চাপিয়ে মসজিদে যেতে দেখা যায় কয়েকজনকে।
জেলা সদরের বাসিন্দা খন্দকার আসলাম হোসেন জানান, দিনভর তীব্র গরম থাকলেও সন্ধ্যার পরে নেমে আসে ঠান্ডা। রাতে কিছুক্ষণ খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকলেই কুয়াশা পড়ে চুল ভিজে যায়। সারা দিন কড়া রোদ আর প্রচণ্ড গরম থাকলেও শেষ রাতের ঠান্ডা পরিবেশ জানান দেয় শীতের প্রস্তুতির কথা।
সদরের টুপামারী ইউনিয়নের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট শামীমুল ইসলাম বলেন, ‘যে বছর বৃষ্টি কম হয় সে বছর শীত বেশি হয় এ কথা অনেক শুনেছি, পড়েছি। এবার জেলায় বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিবাদলের পরিমাণ কম থাকায় হয়তো শীতের আগাম দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। রাত-দিনের বেমানান ঠান্ডা গরমে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে অনেক বেশি।’
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. অমল চন্দ্র রায় জানান, এসময় ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। সেই সঙ্গে শিশুদের ডায়রিয়াও বেড়েছে। এসব অসুস্থতার মূল কারণ হঠাৎ ঠান্ডার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। ঠান্ডা-গরমের গরমিলে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিম জানান, বর্তমানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি। সে কারণে রাতের বেলায় আবহাওয়া শীতল হয়ে যায়। এটি শীতের পূর্বাভাস বলা যেতে পারে। কারণ এখনো পুরো শীত নামেনি। অক্টোবরের শেষের দিকেই পুরোপরি শীত শুরু হতে পারে বলেও জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে