ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে দিনাজপুরের তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত শীত অনুভব হচ্ছে। দেখা মিলছে কুয়াশারও। গতকাল সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রবিবার ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে, অন্যান্য বছরের তুলনায় ধীরে কমছে তাপমাত্রা।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, জেলায় একটু একটু করে শীত বাড়ছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। তবে, গতবারের চেয়ে ধীরে কমছে তাপমাত্রা। তিনি জানান, গত বছরের ৩০ নভেম্বর দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১ ডিসেম্বর কমে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৫০ ডিগ্রি, ২ ডিসেম্বর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এবার তেমন শীত নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাপমাত্রা কমতে থাকায় সন্ধ্যায় মানুষকে শীতের কাপড় পরতে দেখা যাচ্ছে। কম আয়ের লোকজন পুরোনো কাপড়ের মার্কেটে ভিড় জমাচ্ছে। কিন্তু মূল্য বেশি থাকায় তা লোকের ক্রয় সীমার বাইরে চলে গেছে। ভোরে মসজিদে মুসুল্লিরা শীতের কাপড় পরে নামাজে আসছেন।
সদরের পাক পাহাড়পুর জামে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লি আমির হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই শীত অনুভূত হচ্ছে। ভোরে শীতের কাপড় গায়ে দিয়ে বের হতে হচ্ছে। শীত আসছে তা বোঝা যাচ্ছে। তাই রাতে শীতের কম্বল বা লেপ ব্যবহার করছে মানুষেরা।
স্টেশন এলাকায় দেখা মেলে পত্রিকার হকার রণজিৎ চন্দ্র সরকার ও ইমরান হোসেনের। তাদের শীতের পোশাক ছিল বাইসাইকেলের মধ্যে। তারা বলেন, ‘ভোরবেলা পত্রিকা আসে। আমাদের ভোরে বের হতে হয়। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ কুয়াশা বেশি। ভোরে ঠাণ্ডা লাগলেও সাইকেল চালানোয় গরম লেগে গেছে। তাই হালকা শীতের কাপড় খুলে সাইকেলের হাতলে রেখে দিয়েছি।’
এদিকে ছিন্নমূল লোকেরা শীতে প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছে। এখনো সরকারি-বেসরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র বা কম্বল বিতরণ করা শুরু করেনি। এ ব্যাপারে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. শাকিল আহমেদ জানান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ অচিরেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে