অধিকাংশ জমির ধানকাটা ও মাড়াই শেষ হওয়ায় দিনাজপুরের হাটবাজারগুলোতে ধানের কেনাবেচা জমজমাট। গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে প্রতি বস্তায় ধানের দাম প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কৃষকরা বলছেন, দাম সন্তোষজনক হলেও অতিবৃষ্টি, বন্যা এবং পোকার আক্রমণে আশানুরূপ ফলন পাননি। এদিকে চালের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার অজুহাতে সরকারের সঙ্গে এখনো চুক্তি করেননি জেলার মিলাররা।
দিনাজপুরের সদর উপজেলার গোপালগঞ্জ হাটে সকাল থেকেই ট্রাক্টর, রিকশাভ্যান, ভটভটিতে ধান নিয়ে আসেন কৃষকরা। হাটও কেনাবেচায় জমজমাট। গত হাটের চেয়ে এ সপ্তাহে ধানের প্রকারভেদে প্রতি বস্তায় বেড়েছে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। বিনা-৭, স্বর্ণা, গুটি স্বর্ণা, সুমন স্বর্ণা, হাইব্রিড ২৮, ২৯ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতি বস্তা ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। আর চিকন ধান জিরা কাটারি, কাটারি প্রতি বস্তা ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা।
বর্তমান বাজারমূল্যে ধান কিনে সরকারি নির্ধারিত দামে চাল দিলে লোকসান গুনতে হবে। যে কারণে মিলাররা চাল দিচ্ছেন না।
মিলাররা বলেন, চালের তুলনায় ধানের দাম বেশি। তাই সরকারি গুদামে চাল দিলে লোকসান গুনতে হবে।
জেলার ১৩ উপজেলা থেকে এবার সরকার মিলারদের কাছ ৭৪ হাজার ৯১ মেট্রিক টন চাল এবং ১১ হাজার ৯২৭ মেট্রিক টন ধান কিনবে।
বাংলা৭১নিউজ/সর