বাংলা৭১নিউজ,(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরে গতকাল রাত থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ৩টি প্রধান নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার একদম কাছে চলে এসেছে। এ রকম টানা বৃষ্টিপাত হলে দিনাজপুরসহ আশপাশের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়াও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আমন ধান জমিতে লাগানোর ক্ষেত্রেও অসুবিধায় পড়েছেন কৃষকরা।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পরিমাপকৃত তথ্য অনুয়ায়ী হঠাৎ করে দিনাজপুরের নদীগুলোর সবগুলো পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আত্রাই নদীতে ৩৯.৬০০ মিটার বিপদসীমার বদলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৩৯.২২ মিটারে দাঁড়িয়েছে। একই অবস্থা পুনর্ভবা ও ইছামতি নদীর ক্ষেত্রেও।
পুনর্ভবা নদীর পানি ৩৩.৫০০ মিটারের বিপদসীমার বদলে ৩২.২১ মিটারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছ। ইছামতি নদীতে ২৯.৯৫ মিটার এর বদলে ২৮.৫১ মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছেন, দিনাজপুরের তিনটি প্রধান নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। সময় যত যাচ্ছে নদীর পানি ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফইজুর রহমান বলেন, পুনর্ভবা নদীর পানি আরও ১ মিটার বৃদ্ধি পেতে পারে। পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে নদী এলাকায় বা একটু দূরে যেসব ঘরবাড়ি আছে সেগুলো প্লাবিত হতে পারে। বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে বন্যার অবনতি হতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নির্ণয় করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে অতিভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলসহ এসব এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
তবে তিনি আরও জানান, আগামী ১৪ জুলাই থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে গিয়ে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।’
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক প্রস্তুত আছে বলেও জানা গেছে। জেলার ১৩টি উপজেলায় বন্যা মোকাবিলায় বা প্রস্তুতি গ্রহণ পূর্বক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক খাদ্য সংকট মোকাবিলায়ও প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দিনাজপুরের বেশ কিছু জায়গায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদী এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসআর