বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় এবং নগরীর খানাখন্দ রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক রিক্সা ও সিএনজি যাত্রীকে দূর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীতে রোববার সকালেই কালবৈশাখী হানা দেয়। সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়। এতে সকাল থেকেই শহরের অধিকাংশ সড়কে পানি জমতে থাকে।বুদ্ধপূর্ণিমার কারণে আজ সরকারি ছুটি ছিল। একারণে নগরীর সড়কে মানুষের যাতায়াত ছিল অনেক কম।তবে সকাল থেকে রাস্তায় গাড়ির চাপ কম থাকলেও বেসরকারি কর্মজীবীরা অফিসমুখী ছিলেন।
কালবৈশাখীর কারণে সকাল আটটার দিকেই ঢাকায় চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে। কিছুক্ষণ পরই ওঠে ঝড়। সঙ্গে বিজলি আর বিকট শব্দে বজ্রপাত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মতিঝিল, আরামবাগ, কাজীপাড়া, মিরপুর-১০, বাসাবো, খিলগাঁও, মৌচাক, ধানমন্ডি এলাকার বেশকিছু এলাকার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে।
বেসরকারি কর্মজীবী আবেদ আলী জানান, বাসাবো এলাকায় হাঁটু পানি জমে গেছে। চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে।
বাসাবো, শাহজাহানপুর ছাড়াও কমলাপুর মোড়ে রাস্তার এক পাশে অল্প পানি জমে থাকতে দেখা যায়। তবে আরামবাগ এলাকাজুড়ে থৈ থৈ পানি। একই চিত্র মালিবাগ রেলগেইট এলাকার ডাক্তার গলি, সুপার মার্কেট ও বাড্ডার।
জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই সিটি করপোরেশন কাজ শুরু করলেও অনেক এলাকায় সড়কে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম জানান, গুলিস্তান নাট্যমঞ্চের সামনে সকালে হাঁটু পানি জমেছিল। কর্মীদের প্রচেষ্টায় এখন অনেক এলাকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক কমোডোর আব্দুর রাজ্জাক জানান, তাদের কর্মীরা মাঠে রয়েছেন। জলাবদ্ধতা দূরে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ