বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা থাকছে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি আগামীকাল (বুধবার) নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট সূত্র।
আজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ।
তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রাম দাঁড়িপাল্লা হওয়ায় গতকাল (সোমবার) অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দলকে প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা বরাদ্দ দেয়া হবে না। যেহেতু এটি ন্যায় বিচারের প্রতীক সেহেতু এটি কাউকে দলীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টের মূল বিল্ডিং এর মনোগ্রামে অঙ্কিত দাঁড়িপাল্লায় ২টা চেইনের স্থলে ৩টা চেইন লাগানো হবে। এনেক্স বিল্ডিংয়ের মনোগ্রামে অঙ্কিত দাঁড়িপাল্লায় ৩টি চেইনই থাকবে। এছাড়া নতুন বছরে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি ৬২ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাব্বির ফয়েজ আরও জানান, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট দুই বিভাগের বিচারপতিরা ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছেন, ন্যায়বিচারের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্টেরও মনোগ্রাম। এই প্রতীক যেন কোনো রাজনৈতিক দলকে বরাদ্দ দেয়া না হয়, সে বিষয়ে নির্বাচন কমশিনকে চিঠি দেয়া হবে। আগামীকাল বুধাবার আমরা চিঠি পাঠাবো।
উল্লেখ্য, দেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এক সময় ‘দাড়িপাল্লা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে। ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর ওই প্রতীকেই দলটিকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দলীয় গঠনতন্ত্রের কারণে হাইকোর্টের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ করা হয়েছে।
দল হিসেব জামায়াত ইসলামী থাকছে কিনা সেটাও এখন আপিল বিভাগের নিষ্পত্তির পর জানা যাবে। এদিকে সংগঠন হিসেবে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিচার প্রক্রিয়াধীন। সংগঠনের বিচারের জন্য আইন তৈরি করে দলটির বিচার করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এম