মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন চালু হবে এ মাসেই সাবেক সেনা সদস্য হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন ইতা‌লি ভিসাপ্রার্থীদের যে বার্তা দি‌লেন পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টা ময়মনসিংহে ‘চাঁদাবাজ’ রানাসহ ৬ আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার নিরাপদ খাদ্য পেতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে হবে ছয়দিন বন্ধ থাকবে সোনামসজিদ স্থলবন্দর টি-টোয়েন্টি থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসর ঘোষণা শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, জানালেন ছেলে জয় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৪ জনের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব সদস্যের পদত্যাগ জামিন পেলেন সাবের হোসেন চৌধুরী, কারামুক্তিতে বাধা নেই বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মিলার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে: ড. ইফতেখারুজ্জামান শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে প্রবেশনারি অফিসারদের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স শুরু দুর্গাপূজার ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন মন্ত্রী-এমপিরা কার ইঙ্গিতে পালালো তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন: ফারুক মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনেই চলবে হেলিকপ্টার! তাপসী তাবাসসুমকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ নেত্রকোণায় লাখ মানুষ পানিবন্দি, এক মৃত্যু আন্দোলন দমাতে অস্ত্র ব্যবহার, যুবলীগ কর্মী আরাফাত গ্রেপ্তার

দশ বছরে ভরাট হয়েছে ঢাকার ৩৬ শতাংশ জলাশয়

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

গত দশ বছরে ভরাট হয়েছে ঢাকার ৩৬ শতাংশ জলাশয়। রাজধানীর আশপাশে সাভার, কেরাণীগঞ্জ, রূপগঞ্জ ও গাজীপুরেও অস্তিত্ব হারিয়েছে এক লাখ একরের বেশি জলাশয়। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বছরের পর বছর এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী বিভিন্ন ব্যক্তি ও আবাসন কোম্পানি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপকর্মকারীদের এখনই ঠেকানো না গেলে, পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয়াবহ মূল্য দিতে হবে সবাইকে।

নদী, খাল, জলাশয় ভরাট, দখল ও স্থাপনা তৈরি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা যে আইন প্রণেতাদের তাদেরও কেউ কেউ এ কাজে বেশ এগিয়ে। খোদ জাতীয় নদী-রক্ষা কমিশনের হিসাবে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদে ১৩ একরসহ মোট ৫৪ একর নদী ও জলাশয় দখল করেছেন ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক। এই তালিকায় আছেন ঢাকার আরেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমও।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, সারাদেশে নদী ও জলাশয় দখলদার ৫৭ হাজার তিনশ ৯০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায়ই আট হাজার ৮৯০ জন।

বাংলাদেশ প্ল্যানার্স ইন্সটিটিউটের তথ্য মতে, গত ১০ বছরে ঢাকা ও এর চারপাশের জলাশয় ভরাট হয়েছে ১ লাখ ৯৩৭ একর। ঢাকা মহানগরীতেই ভরাট হয়েছে ৯ হাজার ৫৫৬ একর। কেরাণীগঞ্জে ২৬ হাজার ৪৭৪, রূপগঞ্জে ১৬ হাজার ৫৪২, গাজীপুরে ১৩ হাজার ৮৪২ একর এবং সাভারে ২০ হাজার ৬৩৮ একর জলাশয় অস্তিত্ব হারিয়েছে।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ঢাকার আশেপাশের জলাশয়গুলো অবৈধভাবে দখল করেছে আবাসন প্রকল্পগুলো। এখানে প্রশাসন এক ধরনের নীরব ভূমিকা পালন করেছে।

পরিবেশবাদী ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলাশয় রক্ষায় আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন না থাকায় দখল-দূষণ বাড়ছে। এসবের দায় নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

জলবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ম. এনামুল হক বলেন, চোখের সামনে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সকল আইন আছে কিন্তু আইনগুলোর প্রয়োগ নেই।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ভরাট পক্রিয়াটি না থামিয়ে যদি ভরাটকে আইনসিদ্ধ করেন, তাহলে তো আপনি ভরাটকে কখনও রোধ করতে পারবেন না। ২০১০ সালে ড্যাব যখন অনুমতি হলো, তখন ভূমিদস্যু যারা আছে তাদের প্রতিবাদের মুখে সরকার একটি কমিটি করে দিলো। যারা জলাশয় ভরেছে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভরাটকৃত জলাশয়কে হাউজিং করার অনুমতি দিচ্ছে।

জলাশয় রক্ষায় সরকার উদ্যোগ নিয়েছেন দাবি করে বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, উচ্ছেদ অভিযান চলছে। কেউ আর নতুন করে স্থাপনা করতে পারবে না। নগর এলাকায় কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ এলাকা জলাশয় দরকার হলেও ঢাকায় আছে ৪ শতাংশেরও কম।

বাংলা৭১নিউজ/এমএন

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com