বাংলা৭১নিউজ,(পাবনা )প্রতিনিধি:পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতেই ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মিন্টু গ্রুপ ও সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক মালিথা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এখনও দু’গ্রুপের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহতরা হলেন- পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইসহাক মালিথা, মুলাডুলি ইউনিয়ন কৃষিলীগের সভাপতি বককার মালিথা, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের ছেলে রনিসহ অন্যরা।
এদের মধ্যে রনির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বসেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইসহাক মালিথা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
৬ বছর পর রোববার সন্ধ্যায় সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু দলীয় কার্যালয়ে একক আধিপত্য বিস্তার করতে যায়। এতে বিবাদমান দুগ্রুপের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। আজ দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতাদের ফুল দেয়া নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে মিন্টু ও ইসহাকের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে পরে উভয়-গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুসহ নেতৃবৃন্দদের ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে দফায় দফায় দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি