বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: দলিতদের ডাকা ভারত বনধ নিয়ে গোটা দেশেই তুলকালাম কাণ্ড। কোথাও সংঘর্ষ, তো কোথাও অবরোধ। মধ্যপ্রদেশে বন্ধ নিয়ে সংঘর্ষে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। উত্তাল পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, ওড়িশার মতো পাঁচ রাজ্য।
কিন্তু সোমবার সকাল হতে না হতেই বন্ধ সফল করতে রাস্তায় নামে দলিত সংগঠনগুলো। ওড়িশার সম্বলপুরে দলিতদের একটি সংগঠনের রেল অবরোধে নাস্তানাবুদ হতে হয় যাত্রীদের। রেল অবরোধের খবর এসেছে বিহার থেকেও। সড়ক অবরোধের জেরে থমকে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটা জায়গার যান চলাচল। সেখানে বেশ কয়েকটা গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। থমকে গিয়েছে পঞ্জাবের স্বাভাবিক জনজীবন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সোমবার পঞ্জাবের সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে সেই রাজ্যে সিবিএসই-র দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির সমস্ত পরীক্ষা। তবে সিবিএসই-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পঞ্জাবের অন্যত্র পরীক্ষা স্থগিত রাখা হলেও, পরীক্ষা নেওয়া হবে হরিয়ানা ও পঞ্জাবের রাজধানী চণ্ডিগড়-সহ গোটা ভারতে। দশম শ্রেণির সিবিএসইতে আজ ফরাসি, সংস্কৃত এবং উর্দু (কোর্স বি)-র পরীক্ষা। অন্যদিকে হিন্দি ইলেক্টিভ, নেপালির মতো বেশ কয়েকটা ভাযার পরীক্ষা রয়েছে দ্বাদশ শ্রেণিতে।
গত ২০ মার্চের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর অত্যাচার বন্ধের যে আইন রয়েছে, তা সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এই আইনে কোনও সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কোনও সাধারণ নাগরিকের বিরুদ্ধেও যদি একই অভিযোগ ওঠে, তবে তাঁকে গ্রেফতারের আগে ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও পুলিস আধিকারিককে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। এরই প্রতিবাদে এ দিন ভারত বনধের ডাক দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সেবা দল, ন্যাশনাল দলিত মুভমেন্ট পর জাস্টিস, সিআইটিইউ, ভারিপ বহুজন মাহাসঙ্ঘের মতো বেশ কয়েকটা সংগঠন। তাদের দাবি, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ দলিতদের স্বার্থের পরিপন্থী।’’
দলিতদের ডাকা ভারত বনধ নিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, এই রায়ের বিরোধিতা করে তারা নতুন করে আদালতে আবেদন জানিয়েছে। পঞ্জাবে তফশিলি জাতি ও উপজাতিভূক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩২ শতাংশ। সেখানকার কংগ্রেস সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ‘‘দলিতদের দাবি ন্যায্য।’’ কিন্তু শুধুমাত্র পঞ্জাবে পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়ে গিয়েছে সিবিএসই। শুধু তো পঞ্জাব নয়, বনধের প্রভাব পড়েছে অন্য রাজ্যের উপরেও। তা হলে শুধুমাত্র পঞ্জাবেই কেন পরীক্ষা বাতিল? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। সূত্র: আনন্দবাজার।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস