সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাকরির বয়স ৩৫ আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল যমুনায় অটোমেটেড সেবা প্রতিরোধ করবে অপচয় ও দুর্নীতি : অর্থ উপদেষ্টা নেপালে বন্যা-ভূমিধসে ১৯২ মৃত্যু, উদ্ধারে হিমশিম আমরা প্রস্তুত, দীর্ঘ যুদ্ধেও বিজয়ী হবো: হিজবুল্লাহর উপপ্রধান এবি ব্যাংকের বন্ড ইস্যু পুনর্বিবেচনার আবেদন তেলবাহী জাহাজে আগুনের ঘটনায় ২ জনের মরদেহ উদ্ধার ৯৯৯-এর রেসপন্স টাইম আরো কমিয়ে আনা হবে : আইজিপি প্রাথমিক শিক্ষা সংস্কারে কমিটি, নেতৃত্বে ইমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর হাসিনার পতনের পর গ্রামীণফোনের শেয়ারদর বেড়েছে ৫৩ শতাংশের বেশি স্বামীসহ গ্রেফতার সাবেক এমপি হেনরি যুবদল নেতা হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সুলতান মনসুর মিরাজ-সাকিবের ঘূর্ণির পর ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা ভারতের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সুপারিশমালা দেবে বিএনপি সেপ্টেম্বরে নির্যাতনের শিকার ১৮৬ নারী-কন্যাশিশু জিয়াউর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলায় মামলা চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবি: পর্যালোচনা কমিটি গঠন ডিসি নিয়োগ নিয়ে হট্টগোল: ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে মাঝ রাতের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্রে হেলেনের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১

দফতরির কানের পর্দা ফাটিয়ে টাকা নিলেন এসআই

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৯
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে এক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশপ্রহরীকে নির্যাতন করে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাতে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের খাকচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত এসআই জামিরুল ইসলাম সদর মডেল থানায় কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় সোমবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত দফতরি মো. উবায়দুল্লা। তিনি খাকচাইল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে এসআই জামিরুলের নেতৃত্বে সদর মডেল থানার ছয় পুলিশ সদস্য খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। সেখানে তারা বিদ্যালয়ের দফতরি উবায়দুল্লার কক্ষের দরজায় টোকা দেন। দরজা খোলার পর এখানে বশির নামে কেউ আছে কি-না জানতে চান। এ নামে কেউ নেই বলার পরও তারা উবায়দুল্লার পকেটে হাত দেন। পকেট হাতিয়ে কিছু না পেয়ে আবার বলেন বাচ্চু নামে কেউ আছেন কি-না। এরপর উবায়দুল্লাকে স্কুলের সব শ্রেণি কক্ষের দরজা খুলতে বলেন এসআই জামিরুল।

পরে আবার তারা উবায়দুল্লার পকেট চেক করার নামে কয়েকটি ইয়াবা ট্যাবলট ঢুকিয়ে দেন। এরপরই জামিরুল তাকে বলেন- ‘তুই ইয়াবা ব্যবসা করছ, আর কোথায় কোথায় ইয়াবা আছে বল।’ এসব বলার পরই উবায়দুল্লাকে বেদম পেটাতে থাকেন জামিরুল ও অন্য পুলিশ সদস্যরা। দুই কানে এবং মাথায় এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারা হয় উবায়দুল্লাকে। এতে তার কানের পর্দা ফেটে যায়। পরে খবর পেয়ে উবায়দুল্লার বাবা নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসলে তাকে আটক করে সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেন জামিরুল।

এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তালেব আসার পর দুই হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে উবায়দুল্লা ও তার বাবাকে ছাড়া হয়। তবে এ ঘটনা সম্পর্কে কাউকে জানালে মাদক মামলা ফাঁসানোরও হুমকি দিয়ে যান জামিরুল। ঘটনার পরদিন রোববার উবায়দুল্লাকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো হয়।

তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন এসআই জামিরুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে এসআই জামিরুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com