বাংলা৭১নিউজ,(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি:সাতক্ষীরার শহরের প্রাণকেন্দ্রের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রাণসায়র খালের দু’পাড়ের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন ১২ সেপ্টেম্বর হতে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাতদিন ধরে এ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে মোট ২৫৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। এর আগে জেলা প্রশাসন মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে চলতি বছরের শুরুতেই ‘ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রীন সাতক্ষীরা’ নামে অভিযান পরিচালনা করে। সে অভিযান কয়েকদিন চলার পর মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ বন্ধ করে দেন।
চলতি বর্ষা মৌসুমে জেলা প্রশাসন সাতক্ষীরা শহরে জলবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে শহরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত প্রাণসায়ার খালের দুই ধারে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। জলবদ্ধতা থেকে সাতক্ষীরা শহরবাসিকে মুক্তি এবং প্রাণসায়ার খাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের সুলতানপুর বড়বাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন এলাকার পিছন থেকে বুলডোজার দিয়ে এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিৎ কুমার সাহা ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী রাশেদ রেজা বাপ্পি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিৎ কুমার সাহা বলেন, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে শহরের নারকেলতলা ব্রিজ পর্যন্ত প্রাণসায়ের খালের দু’ধারে রয়েছে- জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সাতক্ষীরা পৌরসভার জায়গা। ইতোপূর্বে প্রাণসায়ের খাল পুনঃ খনন করার লক্ষ্য নিয়ে কয়েকবার খালের দু’ধারের অবৈধ স্থাপনা অপসারনের জন্য উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্ত সেসব অভিযানে আশানুরুপ ফল দেখা যায়নি।
এ প্রসংগে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, জেলা প্রশাসনের জায়গা জবর দখলকারিদের চিহ্নিত করে বুলডোজার দিয়ে তালিকাভূক্ত প্রাণসায়ার খালের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা ২৫৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এবিএমএমআর