সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন (৩৮) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন লিটনের বড় ভাই মনির হোসেন (৪০)। আশংকাজনক অবস্থায় মনিরকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জোহানেসবার্গে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর আলম লিটন নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার ফতেজঙ্গপুর গ্রামের আলমগীর ড্রাইভার বাড়ীর সামছুল হকের ছেলে। তিনি দুই মেয়ের জনক।
নিহতের বড় ভাই মো. আলমগীর হোসেন জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম লিটন ছিল তৃতীয়। নিজেদের বাবা-মাকে হারিয়েছেন অনেক আগে। ১৩ থেকে ১৪ বছর সৌদি আরবে থাকার পর মেজ ভাই মনির হোসেনের সহযোগিতায় গত ১৮ মাস আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান লিটন। পরে মনিরের সাথে জোহানেসবার্গে ব্যবসা চালু করেন লিটন। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। বুধবার রাতে কাজ শেষে নিজ প্রতিষ্ঠানে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। পরে সেই দেশে থাকা এক ভাগিনা দোকান বন্ধ করার জন্য লিটনকে ডেকে তোলেন। এর কিছুক্ষণ পর পাশে থাকা বড় ভাই মনিরের সাথে দেখা করে আসবেন বলে ভাগিনাকে বলে বের হয়ে যান লিটন।
তিনি আরও জানান, মনিরের দোকানের ভিতরে গিয়ে দুই ভাই কথা বলছিল। এ সময় চার থেকে পাঁচজন সেই দেশি কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসী দোকানে এসে মনিরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুই ভাই তাদের প্রতিরোধ করার জন্য সন্ত্রাসীদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এর এক পর্যায়ে মনিরের মাথায় বন্দুক দিয়ে আঘাত করলে মনির রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে গেলেও সন্ত্রাসীদের হাতে আটক হয়ে যান লিটন। পরে সন্ত্রাসীরা দোকানের সামনের রাস্তায় নিয়ে লিটনের বুকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এদিকে লিটনের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় ও পরিবারে চলছে শোকের মাতম। জাহাঙ্গীর আলম লিটনের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবার।
বাংলা৭১নিউজ/এবি
