বাংলা৭১নিউজ, মাদারীপুর প্রতিনিধি: ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে দক্ষিনবঙ্গের প্রবেশদ্বার মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই লঞ্চ, স্পিডবোট এবং ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহনের প্রচন্ড চাপ ছিল।
পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ব্যস্ততার নগরী ছেড়ে দুইদিন আগ থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ। বুধবারে চেয়ে বৃহস্পতিবার যাত্রী বেড়েছে দ্বিগুণ। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই শিবচরের কাঁঠালবাড়িঘাট ব্যস্ত হয়ে উঠে ঘরমুখো মানুষের পদচারণায়। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিতে করে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে নামছে মানুষ।
কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১২ জুন) ভোর থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে। বুধবার (১৩ জুন) সকালে মানুষের চাপ আরও বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়। বর্তমানে এই নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ, দুই শতাধিক স্পিডবোট ও ১৯টি ফেরি যাত্রী সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
ঈদে ঘরমুখো মাদারীপুরের যাত্রী ইয়াসিন বলেন, আর মাত্র দুইদিন পরই ঈদ। ঈদের সময়েই রাজধানীর বেশির ভাগ মানুষই গ্রামের বাড়িতে ফিরে যায়। পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে। এ সময় যাত্রাপথে ভিড় থাকা স্বাভাবিক। সব কিছু মেনে ঘরে পৌঁছানো-ই হলো জয়ের আনন্দ।
বরিশালের উদ্দেশ্যে যাওয়া তৈয়ব খান বলেন, সকাল থেকেই সব জায়গায় ভিড়। লঞ্চে অনেক যাত্রী ছিল। বৈরী আবহাওয়ার কারণে পদ্মা কিছুটা উত্তাল রয়েছে। তবে লঞ্চে যাত্রীর পরিমাণ বেশি হলেও অতিরিক্ত ছিল না।
বিআইডব্লিউটিএ’র কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ঈদে ঘরেফেরা মানুষকে যাতে এই ঘাটে ভোগান্তিতে পড়তে না হয় তার জন্য সব রকমের চেষ্টা করে যাচ্ছি। কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে প্রায় যাত্রী শূন্য লঞ্চগুলো শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে পাঠাচ্ছি। সকাল থেকেই যাত্রীরা ফিরতে শুরু করলেও লঞ্চে কোনো প্রকার অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার সুযোগ নেই।
বিআইডব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ফেরিতে তেমন চাপ নেই। ফলে অনেকটা পরিবহন শূন্য ফেরিগুলো শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে কাঁঠালবাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে ফেরিতেও অধিক সংখ্যক যাত্রী পারাপার হচ্ছে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ইমরান আহমেদ জানান, ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়ছে ক্রমান্বয়ে। শুক্রবারও চাপ থাকবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। র্যাব, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম সার্বক্ষণিক ঘাট এলাকায় রয়েছে। এছাড়া কোনো পরিবহন যেন বাড়তি ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের হয়রানি না করে সেদিকেও আমাদের কঠোর দৃষ্টি রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস