শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

‘থ্রেট দেবেন না’

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: খালেদা জিয়ার জামিন বাতিলে আপিল শুনানিতে আইনজীবীদের এক বক্তব্যে উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বেগম জিয়ার একজন আইনজীবী গিয়াসউদ্দিন আহমেদের একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতি তার কাছে জানতে চান তিনি হুমকি দিচ্ছেন কি না।
আজ বুধবার সকালে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শুনানি হয়। এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশন হাইকোর্ট বেঞ্চের আদেশের সার্টিফাইড কপি না পাওয়ার কথা বলে সময়ের আবেদন করেন।
প্রধান বিচারপতি আবেদন মঞ্জুর করলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য শোনার জন্য চাপাচাপি করতে থাকেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি গিয়াসউদ্দিন আহমেদের একটি বক্তব্যের জবাবে প্রধান বিচারপতি তাকে বলেন, ‘আপনি কি আদালতকে থ্রেট করছেন?’। পরে গিয়াসউদ্দিন বক্তব্য চালিয়ে যেতে থাকলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘থ্রেট দেবেন না।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া বেগম খালেদা জিয়াকে গত সোমবার চার মাসের জামিন দেয় বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার বিচারপতির কাছে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ এবং মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন। সেদিন আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান চেম্বার বিচারপতি।
আজ বুধবার সকালে শুনানির শুরুতেই দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘হাইকোর্ট চারটি কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছে। আমরা এখনও সে আদেশের সার্টিফায়েড কপি পাইনি। আদেশের কপি পেলে লিভ টু আপিল করব।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সিপি ফাইল করে আসেন।’
তখন দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘সিপি ফাইল করতে রবিবার-সোমবার পর্যন্ত আমাদেরকে সময় দেয়া হোক। এ পর্যন্ত জামিন স্থগিত রাখা হোক।’
এরপর আদালত বলে, ‘ঠিক আছে সিপি ফাইল করে আসেন রবিবারের মধ্যে। এ পর্যন্ত জামিন স্টে থাকবে।
তখন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমাদেরকে আগে শুনেন। আমাদের বক্তব্য তো শুনেন নাই। আমাদের না শুনে এভাবে আদেশ দিতে পারেন না।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শুনতে হবে না। রবিবার পর্যন্ত তো স্থগিত দিয়েছি। ওই দিন আসেন তখন শুনব।’
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আপনি একতরফাভাবে শুনানি করে আদেশ দিলে এতে আদালতের প্রতি পাবলিক পারসেপশন খারাপ হবে।’
জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা পাবলিক পারসেপশনের দিকে তাকাই না। কোর্টকে কোর্টের মত চলতে দিন।’
এরপর জয়নুল আবেদীন ও এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘না শুনেই তো আদেশ দিলেন।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছি। আমাদের শোনার দরকার নেই।’
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘এই মামলায় চেম্বার আদালত তো স্টে দেয়নি। এই সময়ের মধ্যে আসামিও বের হবে না। তাই স্টের প্রয়োজন নেই।’
খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা তো শুনানির সুযোগ পেলাম না।’
এরপরই কার্যতালিকা থেকে অন্য মামলা শুনানি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেকসহ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমদ দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আপনি তো না শুনেই একতরফা আদেশ দিলেন। আমাদের কথা শুনতে হবে। কেন শুনবেন না?’।
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কার কথা শুনব, কার কথা শুনব না তা কি আপনার কাছে শুনতে হবে?’
গিয়াস উদ্দিন তখন কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমাদের কথা আপনাকে শুনতেই হবে।’
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনি কি আদালতকে থ্রেট করছেন?’
গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘শুনে তারপর আদেশ দিতে হবে।’
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘থ্রেট দেবেন না।’
এক পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আপনি তো কোর্টকে শেষ করে দিলেন।’
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল কোন উত্তর না দিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়েই ছিলেন। তখন একদল আইনজীবী ‘দালাল দালাল’ বলে আদালত কক্ষ ত্যাগ করেন।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com