মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দুই দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
বন্যায় উত্তর মালয়েশিয়ার কেলান্তান রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে ১ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। দক্ষিণ থাইল্যান্ডেও প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দেশটির কিছু অঞ্চলে রোববার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
একইভাবে থাইল্যান্ডের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উভয় দেশে জরুরি সেবার সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া মানুষদের জন্য খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডের সাটেং নক জেলায় একটি বাড়ির ছাদ থেকে এক শিশুকে উদ্ধার করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৫ লাখ ৩৪ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির আশঙ্কায় অন্তত দুটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন শিনাওয়াত্রা ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি প্রদেশের জন্য পাঁচ কোটি বাথ বরাদ্দ করেছেন। তিনি বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
এর আগে, ২০২১ সালে মালয়েশিয়ায় এক ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১৪ জন প্রাণ হারান। আর ২০১১ সালে থাইল্যান্ডে বন্যায় অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যু হয় এবং লক্ষাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উভয় দেশেই বর্ষা মৌসুমে বন্যা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এবারের বন্যার ব্যাপকতা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অতীতের অনেক ঘটনাকে ছাড়িয়ে গেছে।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা৭১নিউজ/এবি