বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের ১০০টি প্রকল্পে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে থাইল্যান্ড বিনিয়োগ করলে একটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন বরাদ্দ প্রদান করা হবে। এ জন্য সবধরনের সহযোগিতহা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প নগরীতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে রপ্তানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত নগদ আর্থিক সহায়তার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবে। বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সাথে এফটিএ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ মহুর্তে থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে ৬,৯৯৮টি পণ্য রপ্তনি ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করছে। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে ৪৮.৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৭৮১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, ঔষধসহ যে সকল পণ্য থাইল্যান্ডে প্রচুর চাহিদা রয়েছে এমন আরো ৩৬টি পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহবান জানানো হয়েছে এবং থাইল্যান্ড ভ্রমনের ক্ষেত্রে ভিশা সহজ করার জন্য থাইল্যান্ডের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ২০২১ সালে উভয় দেশের বাণিজ্য ২ বিলিয়রনন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় সফররত থাইল্যান্ডের ইনভেস্টমেন্ট এন্ড ইকোনমিক রিফর্মস বিষয়কমন্ত্রীর নেতৃত্বে থাই প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। গতবছর বাংলাদেশে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেষ্টমেন্ট ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ছিল। এ বছর আরো বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের ঔষধ প্রস্তুত করছে। বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে থাইল্যান্ডে ঔষধ রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
থাইল্যান্ডের ইনভেস্টমেন্ট এন্ড ইকোনমিক রিফর্মস বিষয়কমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। বিনিয়োগের বিষয়ে বিডার সাথে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের সাথে পর্যটন, ফাইনান্স, ম্যান্যুফেকচারার্সসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাণিজ্য করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক বিশ^ সেরা। আগামীতে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের সাথে আরো ঘনিষ্ট ভাবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীস বসু, বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বেনোয়েট প্রিফনটেইন, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিসেস সাঈদা মুনা তাসনিম, থাইল্যান্ডের ডেলিগেশন সদস্যবৃন্দ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ