বাংলা৭১নিউজ, বি এম হান্নান, চাঁদপুর প্রতিনিধি: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পরবর্তী নয়া মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বিজিপির প্রদেশ সভাপতি চাঁদপুরের কৃতি সন্তান বিপ্লব কুমার দেব। মঙ্গলবার (৬ মার্চ) ত্রিপুরা রাজ্যের অতিথিশালায় সকাল ১১ টায় বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বোর্ডের দুই পর্যবেক্ষক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি ও জুয়েল ওরামের উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত রাজ্যের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপ্লব কুমার দেবের নামেই সীলমোহর পরে। ‘ত্রিপুরা সংবাদ সারাদিন’সূত্রে জানা গেছে আগামী শুক্রবার (৯ মার্চ) আসাম রাইফেলস ময়দানে তাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদপুর জেলার কচুয়ার ছেলে বিপ্লব দেবের ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বিপ্লব কুমার দেব এর চুড়ান্ত ঘোষনার খবরে চাঁদপুরের কচুয়ায় তার পৈত্রিক নিবাস মেঘদাইর গ্রামের মানুষ মিষ্টি বিতরণ করেছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রাণ বাঁচাতে গর্ভবতী স্ত্রী মিনা রানী দেবকে নিয়ে ভারতের ত্রিপুরা পাড়ি জমান বিপ্লব কুমার দেব এর বাবা হিরুধন দেব। সেখানকার একটি হাসপাতালে কয়েকমাস পর ফুটফুটে চাঁদের মতো সুন্দর এক পুত্রসন্তান জন্ম দেন মিনা রানী দেব। তার নাম রাখা হয় বিপ্লব কুমার দেব। তিনি আজ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধ না হলে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায়’ই তার জন্মগ্রহণ করার কথা ছিল।
বিপ্লব কুমার দেব এর চাচা প্রানধন দেব কচুয়া উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি। তিনি জানান, বিপ্লব দেব তিন বোনের একমাত্র ভাই। তার বাবা-মা বাংলাদেশে থাকাকালে গর্ভধারণ করেছিলেন বিপ্লবের মা। তবে ত্রিপুরার একটি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লব দেব। ত্রিপুরা ও দিল্লীতে বড় হলেও কচুয়ায় বিপ্লব দেবের যাতায়াত রয়েছে বহু বছর ধরে। সর্বশেষ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের সময়ও তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন। ত্রিপুরা রাজ্যের ফলাফল ঘোষণার পর গত রোববার মোবাইল ফোনে চাচা-ভাতিজার কথা রয়েছে। তখন বিপ্লব বলেছেন, ‘কাকু আমার বাবা তো নেই। তুমি’ই তো আমার অভিভাবক। আশা করছি আমি মুখ্যমন্ত্রী হবো। হলে তুমি কিন্তু আমার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসবে।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস