বাংলা৭১নিউজ,(যশোর)প্রতিনিধি: ত্রাণের দাবিতে যশোর কালেক্টরেট চত্বরে প্রায় দুইশ নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেছেন। সরকারি ত্রাণ সহযোগিতা বঞ্চিত এসব নারী-পুরুষ বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে কালেক্টরেট চত্বরে জড়ো হয়ে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশদ্বার বন্ধ করা হলে তারা কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার উদ্যোগে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়। ত্রাণ বিতরণকালে সেখানে হাজারো লোকের সমাগম হলে হুড়োহুড়ি অবস্থার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে ত্রাণ বিতরণ শেষ হলেও সেখানে কয়েকশ নারী-পুরুষ তখনও ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ত্রাণবঞ্চিত এসব নারী-পুরুষ দুপুর দেড়টার দিকে কালেক্টরেট চত্বরে সমবেত হন।
যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্বামী পরিত্যক্তা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমি ভিক্ষে কইরে খাই। প্রতিবন্ধী ছেলে রাইখে স্বামী চইলে গেছে। রোগের জন্যি বাইরি যাতি পারতিচিনে। এখন যদি ত্রাণ না পাই তাইলি তো না খাইয়ে মরতি হবে।’
শহরের পালবাড়ি পুলিশ লাইন বস্তি এলাকার বাসিন্দা জাফর শেখ জানান, তিন দিন ধরে এসেও তিনি কোনো ত্রাণ পাননি। চাল না দিয়েই তাড়িয়ে দিয়েছে পৌরসভার লোকজন। তাই তারা ডিসি স্যারের কাছে এসেছেন। কিন্তু তিনি তাদের কথা শুনলেন না।
এ বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যশোর জেলায় ২০ হাজার পরিবারকে সরকারি ত্রাণ দেয়া হয়েছে। কিছু লোক ত্রাণ না পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। অসহায়দের সহযোগিতা করা হবে।
যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, যশোর পৌরসভায় ৫ হাজার পরিবারকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ দেয়া হয়েছে। যারা বিক্ষোভ করেছেন পৌরসভার ত্রাণের তালিকায় তাদের নাম নেই। জেলা প্রশাসক স্যার যশোর পৌরসভাকে অবহিত করলে তাদের ডেকে এনে ত্রাণ দেয়ার ব্যবস্থা করেছে যশোর পৌরসভা।
বাংলা৭১নিউজ/জেআই