গত বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানের পর আজ নিজ কর্মস্থলে গেলে সহকর্মীদের তোপের মুখে শিল্পকলা একাডেমি ছাড়তে বাধ্য হন এই অভিনেত্রী।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর আইরিন পারভীন লোপা জানান, আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা পর অফিসে প্রবেশ করেন জ্যোতি। জ্যোতি শিল্পকলা একাডেমিতে যাওয়ার পরই বাইরে বিভিন্ন বিভাগের সহকর্মীদের জড়ো হতে দেখে অফিস রুমের দরজা বন্ধ করে দেন তিনি।
আইরিন পারভীন লোপা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি (জ্যোতিকা জ্যোতি) অফিসে আসায় আমরা হতবাক হয়েছি। তিনি কীভাবে অফিসে আসেন, যিনি স্বৈরাচার সরকারের হয়ে কথা বলেছেন। যারা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে উৎসাহিত করেছেন, যারা রক্ত ঝরার জন্য দায়ী, তাদের আমরা সহকর্মী হিসেবে চাই না।’
বহুল আলোচিত ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্য ছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। এ তথ্য উল্লেখ করে আইরিন পারভীন বলেন, “আমরা তাকে অফিস থেকে চলে যেতে বলেছি। কারণ তিনি ‘আলো আসবেই’ নামে একটি গ্রুপে যুক্ত হয়ে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে কথা বলেছেন। এমন লোক আমরা দেখতে চাই না।”
দুপুর দেড়টার দিকে শিল্পকলা একাডেমি ছেড়ে চলে যান অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। এ বিষয়ে কথা বলতে জ্যোতির মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ