মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চললেও এখনও শুরু হয়নি সংযোগ সড়ক বা সার্ভিস রোড নির্মাণের কাজ। ফলে শঙ্কা আছে, প্রকল্প শেষ হলেও সেবা বঞ্চিত হওয়ার। মেট্রো ব্যবস্থাপক বলছেন, প্রকল্প শেষ হওয়ার ৬ মাস আগে তারা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসবেন। তবে স্টেশন ঘিরে চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করার পরামর্শ দিয়ে, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা আগ থেকে মহাপরিকল্পনার তাগিদ দিয়েছেন।
রাজধানীর তুরাগের ধউর এলাকা। মেট্রোরেলের প্রথম স্টেশন থেকে দূরত্ব দেড় থেকে ২ কিলোমিটার। এ এলাকা থেকে শাহবাগ, পল্টন হয়ে মতিঝিল পৌঁছাতে সময় লেগে যায় প্রায় ৩ ঘণ্টা। অথচ এই একই গন্তব্যে মেট্রোরেলে যেতে সময় লাগবে আধ ঘণ্টার মত। তাই এখানকার মানুষের প্রতীক্ষা, কবে হবে মেট্রোরেল।
দিয়াবাড়ি থেকে মেট্রোলাইন শুরু হওয়ায়, এমন অপেক্ষা আছে আশপাশের ডিওএইচএস, বিমানবন্দর, বাউনিয়া, উত্তরা, আশুলিয়া এলাকার লাখ লাখ নগরবাসীর।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মেট্রোরেলের প্রথম ৩টি স্টেশন রাজউক পরিচালিত উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প এলাকায় এখনও বসতি গড়ে ওঠেনি। তাই এর প্রাথমিক সুবিধাভোগী নগরবাসী। রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থার এসব এলাকা সংযোগ করে সড়ক করার মহাপরিকল্পনা আছে। কিন্তু বাস্তবে এসব সড়ক বর্ধিত করা কিংবা সংস্কারের কোন কাজই শুরু হয়নি।
এ বিষয়ে মেট্রোরেলের এমডি এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেল চালু করা অনেক আগেই ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। এবং আমরা বিষয়টি নিয়ে মিটিং করবো। মানুষ যাতে মেট্রোরেল স্টেশনে আসতে পারে, সেটি নিশ্চিত করবো।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আগে থেকে পরিকল্পনা না নিলে আর্থিক ক্ষতিতে পড়তে পারে এ প্রকল্প।
বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলেন, স্টেশনগুলো অলরেডি আয়োজন ছাড়াই হয়ে গেছে। এখন যে সম্ভাবনাগুলি রয়েছে সেটা যদি অবহেলা করা হয়। তাহলে অমার্জনীয় কাজ হয়ে যাবে। যে রোড গ্রিডটা উত্তরা থার্ড পেজে দেওয়া আছে এটাকে যদি ডেভেলপ করা যায় তখন অনেক লোকই বিমানবন্দর থেকে সরাসরি মেট্রোর যাত্রী হবে। এটা সবার জন্য তখন উপকার হবে।
শহরের ভেতরের মেট্রো স্টেশনগুলোর জন্যও নেই সংযোগ সড়ক বা সার্ভিস রোড। তাই এসব স্টেশনমুখী যানবাহনগুলোর কারণে উল্টো যানজটের শঙ্কা আছে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলা৭১নিউজ/এএম