বাংলা৭১নিউজ,এম.নাজিম উদ্দিন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী ধুলিয়া গ্রামের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপি।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি এ ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান, বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোশারেফ হোসেন খান, সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার, জেলা পরিষদের সদস্য জহির উদ্দিন বাবর বাবুল, সূর্যমনি ইউপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, চীফ হুইপের এপিএস আনিছুর রহমান প্রমূখ। চীফ হুইপ ধুলিয়া লঞ্চ ঘাট থেকে ট্রলার যোগে পশ্চিমে বাকেরগঞ্জ এলাকার দিঘীর পার পর্যন্ত ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় নদীর দক্ষিন পারে কয়েক হাজার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ অবস্থান নিয়ে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চীফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপির কাছে দাবি জানান। এসময় চীফ হুইপ তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তিনি পানি সম্পদমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে সার্ভে করে প্রতিবেদন ঢাকা পাঠানো হবে।
চীফ হুইপ আসম ফিরোজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তেুঁতুলিয়া নদীর করাল গ্রাসে এ পর্যন্ত ধূলিয়া ইউনিয়নের গুচরাকাঠি, মঠবাড়িয়া, আদবড়াল, তেঁতুলিয়া, বাসুদেব পাশাা ও ধুলিয়া গ্রামের ৪-৫ হাজার বাড়ি ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মাদ্রাসা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। প্রায় ১০ হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারা হয়েছেন। এখন থেকেই ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হলে এক সময় ধুলিয়া ইউনিয়নটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস