বাংলা৭১নিউজ, মোঃ আবু মুসা, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ও তুলশিগঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বন্যায় ফসল রক্ষার জন্য তুলশিগঙ্গা নদীতে বাঁধ নির্মান করা হয়েছিল। তুলশিগঙ্গা নদীতে নির্মিত বাঁধ ভাদ্র মাসের ভয়াবহ বন্যায় বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়। এ সব গর্ত আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই সংস্কার করা না হলে ওই এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামসহ বিস্তির্ণ ফসলের মাঠ হুমকির আশংকায় রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে এবং এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, তুলশিগঙ্গা ও মামুদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তুলশিগঙ্গা নদীর দুই পাশের মাঠের ফসল রক্ষার্থে ১৯৯২ সালে বাঁধ নির্মান করা হয়। নির্মানের পর কয়েক দফায় বাধ সংস্কার করা হলেও গত বছরের ভাদ্র মাসের ভয়াবহ বন্যায় বাধের দুই পাশে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত ও খানা-খন্দক সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া মাটির ক্ষয়রোধে বাধের উপর নানান প্রজাতির গাছ থাকলেও বন্যার পানিতে কোথাও কোথাও কিছু গাছের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে সেখানেও গর্তের সৃষ্টি হয়। বর্তমান এ সব গর্ত ও খানা-খন্দক আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বে সংস্কার করা না হলে বাধের দুই পাশে প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম সহ বিস্তির্ন ফসলের মাঠ হুমকির মুখে পড়ার আশংকা প্রকাশ করছে বাধের দুই পাশের বসবাসকারী ও স্থানীয় কৃষকরা।
বাধের পাশে বসবাস কারী উপজেলার আমিরা গ্রামের কৃষক দোলোয়ার হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তুলশিঙ্গা নদীর দুই পাশে ফসল রক্ষা ও বন্যার অতিরিক্ত পানি নিস্কাশন এবং ধারন করার জন্য বাধ নির্মান করা হয়। কিন্তু সংস্কার না করায় ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুম শুরুতে বাধটি পূর্ণ সংস্কার করা না হলে বাধটি ধসে আশে-পাশের গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়াসহ ফসলের মাঠ প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম সাথে কথা হলে তারা বলেন, বাধের আশে-পাশে দুই ইউনিয়নের বসবাসকারী জন সাধারণ এবং কৃষি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে বাধটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন ও খানা-খন্দক আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বে পূনঃ সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আশা করি বাধ সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস