বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডায় তুরাগ পরিবহনের বাসে বেসরকারি উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় তুরাগ পরিবহনের একটি বাসের ড্রাইভার ও কন্টাক্টরসহ গ্রেফতার তিনজনের প্রত্যেককে ৩ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক তাপস। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো বাসের ড্রাইভার রোমান, কন্টাক্টর মনির ও হেলপার নয়ন। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর সহযোগিতায় তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করে গুলশান থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী গত শনিবার দুপুরে উত্তরা ৬ নং সেক্টরে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে আসার জন্য উত্তর বাড্ডা এলাকা থেকে তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসে যাত্রী ছিল মাত্র ৭-৮ জন। এ সময় নাটকীয়ভাবে পরবর্তী স্টপেজগুলোতে বাস সামনে যাবে না বলে যাত্রীদেরকে নামাতে থাকে এবং নতুন কোনো যাত্রী ওঠানো বন্ধ রাখে।
ওই ছাত্রী আশঙ্কা ও সন্দেহবশত বাস থেকে নামার চেষ্টা করলে বাসের হেলপার দরজা বন্ধ করে দেয়। কনট্রাক্টর তার হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। বাসের কন্টাক্টর হেলপারের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে বেরিয়ে আসেন। এরপর অন্য বাসে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে কর্তৃপক্ষ ও সহপাঠীদের বিষয়টি জানান।
পরবর্তীতে সহপাঠীরা ওই বাসটি আটক ও হেলপার-কনট্রাক্টরকে আটকের দাবিতে রাস্তায় মানববন্ধন করে। বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা তুরাগ পরিবহনের অর্ধশত বাস আটকে চাবি নিয়ে নেয়।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বামী জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ১০/৩০ ধারায় ওই মামলা দায়ের করেন। মামলায় তুরাগ পরিবহনের ওই বাসের অজ্ঞাত চালক, হেলপারসহ তিনজনকে আসামি করা হয়। মামলা নং ২৬।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস