বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: তুরস্কে শুক্রবারের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর ষড়যন্ত্রে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত পঞ্চাশ হাজার লোককে সন্দেহের তালিকায় আনা হয়েছে। এদের একটি অংশকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এমন তথ্য দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
প্রথম দুদিনে সরকার সেনাবাহিনী এবং বিচারকসহ বিচার বিভাগের কর্মচারীদের চিহ্নিত করে। এরপর বিভিন্ন পেশার লোকদেরকেও এই তালিকার আওতায় আনতে শুরু করেছে তুরস্ক সরকার।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পর্যন্ত ২১ হাজার শিক্ষকদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ১৫ হাজারেরও শিক্ষা কর্মকর্তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
পাশাপাশি, সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় হাজারেরও বেশি ডিনকে পদত্যাগ করার নির্দেশ বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিদেশ সফর আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর যারা শিক্ষা ছুটিতে বিদেশে রয়েছেন তাদেরকে দেশে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর কেন শিক্ষকদের প্রতি সন্দেহের তীর সরকারের। এর উত্তর খুঁজতে ১৯৯৭ সালে ফিরতে হবে যখন শেষবার তুরস্কে সেনাবাহিনী সফল অভ্যুত্থান করে।
অভ্যুত্থানের পর সারাদেশে বহু ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। নতুন করে জোর দেয়া হয় ধর্ম-নিরপেক্ষ শিক্ষা। সেই সময় আতাতুর্কপন্থীদের গণহারে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। আবার এই শিক্ষকদের মধ্যে একটি অংশ ফেতুল্লাহ গুলেনের হিজমেত আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। তারা বেশ কয়েক বছর থেকে এরদোগান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে দাবি একে পার্টির নেতাদের।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস