বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর তুরস্ক যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বিষয়ে সোমবার ঢাকায় তুরস্ক দূতাবাসে একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে।
রবিবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রাণলয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে জেনে তারা মর্মাহত।
তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আমরা আবারো জোর দিয়ে বলছি যে, এ পদ্ধতিতে অতীতের ক্ষত সারানো যাবে না। এরপরও আমরা আশা করি ক্ষমতাসীনদের এই ভুল চর্চা বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের মধ্যে বিভেদ বাড়াবে না।’
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে এই বিচার প্রক্রিয়াকে ত্রুতিপূর্ণ পদ্ধতি বলে উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
তুরস্কের এই অবস্থানে হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, তাদের এ ধরণের প্রতিক্রিয়া একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল’।
গত ৩ সেপ্টেম্বর জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে দণ্ডিতদের ফাঁসি কার্যকর ঠেকাতে এর আগেও বেশ কয়েকবার এ ধরণের বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছে তুরস্ক।
গত মে মাসে জামায়াতে ইসলামী আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান গভীরভাবে ক্ষুব্ধ হন এবং বাংলাদেশ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেন। এরপর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এস