টানা কয়েক দিনের তীব্র গরমের পর বৃষ্টিতে রাজধানীজুড়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
রোববার (২ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে আকাশজুড়ে মেঘের গর্জন ও ঝড়ো হাওয়ার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি। ভ্যাপসা গরম কমে যাওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন রাজধানীবাসী।
তবে সকালে বৃষ্টি হওয়ায় অফিসগামীদের কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। নির্ধারিত সময়ে অফিসে পৌঁছাতেও কিছুটা ভোগান্তি হয়। যানবাহন ঠিক মতো না পেয়ে রিকশায় বেশি ভাড়া গুণতে হয়েছে অনেককে।
কয়েকদিনে প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছিল। ঠিক তখনই এক পশলা বৃষ্টি যেন মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাস এনে দিয়েছে। বৃষ্টির পর রাজধানীর আবহাওয়া শীতল হয়েছে। বৃষ্টির কারণে গরমও কমে এসেছে।
মূলত মৌসুমি বায়ুর প্রভাব এখনো দেশের ওপর সক্রিয় থাকায় মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে এবং তা থেকে বৃষ্টি ঝরাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, বৃষ্টির এই প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের ১৫ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টি।
আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
বলা হয়, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে বলা হয়, গত ৪০ বছরের মধ্যে জুলাই মাসে এ বছরই সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে। সেটিও প্রায় ৫৭ শতাংশ কম। আগস্ট মাসেও এই ধারা অব্যাহত ছিল। তবে সেপ্টেম্বরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা দেখা গেছে বেশি। শরতের শেষ সময়ে এভাবে হঠাৎ বৃষ্টি আর রাতের শেষভাগে হিম হিম ঠান্ডা যেন শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি