বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী মোনালি ঠাকুরকে সকলেই জানেন অবিবাহিত। ফলে তার ফ্যানের সংখ্যাও প্রচুর। কিন্তু মোনালি যে গোপনে তিন বছর আগেই বিয়েটা সেরে ফেলেছেন, সেই খবরটি এতদিন গোপনই ছিল। মোনলির কথায়, জানি, অনেকে এজন্য অনেক গালি দেবে আমাকে। কিন্তু আমরা যখন বিয়ের দাওয়াত দেব, আশা করছি সবাই ক্ষমা করে দেবেন। সম্প্রতি মোনালি নিজেই এক সংবাদপত্রের সঙ্গে আলাপচারিতায় গোপন খবরটি প্রকাশ্যে এনেছেন। মোনালির স্বামী হলেন সুইজারল্যান্ডের রেস্টুরেন্ট এক ব্যবসায়ী মাইক রিখটার।
আপাতত মোনালী স্বামীর ঘরে দিন কাটাচ্ছেন।
কেন এতদিন বিয়ের খবরটি গোপন রেখেছিলেন মোনালি? এর উত্তরে বলেছেন, আসলে আমরা কোনদিনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ঘোষণাটা সারিনি। তেমন কোনও অনুষ্ঠান করে বিয়ে হয়নি। শুধু কাছের বন্ধু আর পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতেই আমরা বিয়েটা সেরেছি। ২০১৭ সালে মুম্বইতেই হয়েছিল বিয়েটা। তবে বিয়ের দিন ভারতে পা দিয়েই মাইক পড়েছিল বিপদে। কি সেই বিপদ ? মোনালিই জানিয়েছেন, বিয়ের দিন ভারতে এসে গ্রেপ্তার হতে বসেছিল মাইক। আসলে ইন্টারনেটে কোথাও নাকি দেখেছিল অন এরাইভাল ভিসা পাওয়া যাবে। সেইমত সোজা উড়ে এসেছিলেন মুম্বইতে।
মোনালির কথায়, ওকে তো প্রায় দেশ থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল। যেদিন আমাদের বিয়ে ছিল ওকে তো এয়ারপোর্টে কয়েদির মতো আটকে রেখেছিল। তবে ভারত সরকারের তরফে প্রচুর সাহায্য পেয়েছেন মোনালি। ফলে, সব বাধা পেরিয়ে নির্দিষ্ট দিনেই বিয়ে হয়েছিল মোনালি ও মাইকের।
মোনালি ও মাইকের প্রেম কাহিনীর শুরু ২০১৬ সালে। সুইজারল্যান্ডের কনকনে ঠান্ডায় বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল মাইক। সুইজারল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েই মোনালির আলাপ হয়েছিল মাইকের সঙ্গে। প্রথম দর্শনেই ভালো লাগা। তবে বিয়ের প্রস্তাব যে মাইকের কাছ থেকে এসেছিল সে কথা জানিয়ে মোনালি বলেছেন, ২০১৬ সালে ক্রিসমাসের দিন আমাকে মাইনাস দশ ডিগ্রী ঠান্ডার মধ্যে বাইরে নিয়ে এলো। তারপর সেই গাছের নীচে নিয়ে গেল, যেখানে আমাদের প্রথম দেখা হয়। দারুণ রোম্যান্টিক আর কি। তবে প্রচুর ঠান্ডা ছিল,এত কাঁপছিলাম যে বাধ্য হয়েই হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম। উপায় ছিল না।
সম্প্রতি একটি মিউজক ভিডিও করেছেন মোনালি। সেই ভিডিওতে ‘দিল কা ফিতুর’ গানের সঙ্গে মাইককেও দেখা গিয়েছে। এ ব্যাপারে মোনালি জানিয়েছেন, প্রথমে একজন জার্মান মডেলের সঙ্গে আমার কাজ করবার কথা ছিল। কিন্তু আমার টিম পরামর্শ দিল মাইকের ব্যাপারে। তাই আমি মাইককে জিজ্ঞাসা করলাম আর দেখলাম ও রাজি হয়ে গেল। ভালোই হল আমার পয়সা বেঁচে গেল’। মোনালি ও মাইক দুজনই ভোজনবিলাসি।
বাংলা৭১নিউজ/এবি