বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
খুলনার জিরো পয়েন্টে রূপালী ব্যাংকের উপশাখা উদ্বোধন দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার শ্রমিক স্বার্থ নিশ্চিতে ইসলামী শ্রমনীতি প্রণয়নের বিকল্প নেই দেশব্যাপী বৃষ্টিপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস গরমে অসুস্থ হয়ে ঢামেক কর্মচারীর মৃত্যু দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে জেলেরা, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার এলপি গ্যাসের নতুন দাম জানা যাবে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা-যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা তীব্র গরম উপেক্ষা করে নয়াপল্টনে চলছে শ্রমিক সমাবেশ দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! নাটোরে জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার রেস্তোরাঁয় মডেলকে গুলি করে হত্যা ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ ন্যক্কারজনক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী গাম্বিয়ায় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ চীনে গভীর রাতে মহাসড়কে ধস, নিহত অন্তত ১৯ গাজীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় প্রকৌশলী নিহত নিঃসঙ্গ নারীদের টার্গেট, আমেরিকায় নেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণা ধর্ষণের সময় চিৎকার, গলা চেপে ধরায় মারা যায় শিশু ঝুমুর

তিন কিশোরের প্রেম অতঃপর ধর্ষণের পর হত্যা!

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৬ মে, ২০১৭
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, যশোর: যশোরে হোটেল কর্মী ছায়া খাতুনকে (১৯) তিন কিশোর পরিবহন শ্রমিক ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন পর ওই তিন কিশোরকে আটকের পর র‌্যাব এ হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করেছে।

‘ত্রিভুজ প্রেমের’ সূত্র ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জড়িতরা স্বীকার করেছে। আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খোদাদাদ হোসেন।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আটকরা হলো, যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার কড়াইতলা গ্রামের আকরামের ছেলে মফিজুর রহমান (১৪), যশোর সদরের সাবলাট গ্রামের আসাদুর রহমানের ছেলে মো. পারভেজ (১৫) ও ঝিকরগাছা উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে মো. আল আমিন সজিব (১৪)। এই তিনজনই যশোর-নড়াইল ও বাঘারপাড়া রুটে চলাচলকারী বাসের হেলপার।

হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খোদাদাদ হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডের শিকার হোটেল কর্মী ছায়া খাতুনের (১৯) সঙ্গে মফিজুর ও পারভেজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা শারীরিক সম্পর্কের দিকে এগোতে চেয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি রাজী না হওয়ায় তারা ধর্ষণ ও হত্যার পরিকল্পনা করে। অপর আসামি আল-আমিনও মেয়েটিকে পছন্দ করতো। সেও ওই পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত হয়।

খোদাদাদ হোসেন আরও জানান, গত ২৩ এপ্রিল শহরের নীলগঞ্জ তাতীপাড়া এলাকার নড়াইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাবু খাবার হোটেলের তৃতীয়তলার একটি টিনশেড ঘর থেকে হোটেলের নারী কর্মচারী ছায়া খাতুনের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছায়া খাতুন যশোরের শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাছী গ্রামের ইমান আলীর মেয়ে।

এ হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পও ছায়া তদন্ত করতে থাকে। তদন্তকালে নিহত ছায়ার মোবাইল নম্বর ও তার জীবন আচরণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনার এক পর্যায়ে গত ৫ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়।

তিনি আর জানান, পরবর্তীতে সন্দেহভাজন আসামি মফিজুর রহমানকে বাঘারপাড়ার ইংরা গ্রাম থেকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মান্দারতলা এলাকা থেকে পারভেজকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে অপর আসামি আল আমিন সজীব সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহভাজন তিন আসামি ছায়া খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতদের সহযোগিতায় ছায়া খাতুন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটক তিন আসামিকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com