কক্সবাজারের রামু উপজেলার চার স্কুলছাত্র অপহরণের তিনদিনেও উদ্ধার হয়নি। তবে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন রোহিঙ্গাকে আটক করেছেন এপিবিএন সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে টেকনাফের নয়াপাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- নুর সালাম (৫০), রনজন বিবি ও সাদ্দাম মিয়া। অপহৃতরা হলো-রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহিদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে জাহিদুল সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, অভিযান চালিয়ে তিন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অপহৃতদের উদ্ধার অভিযান চলমান আছে।
রামু থানায় করা অভিযোগে বলা হয়েছে, রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় ওই চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিম চার স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান। ইব্রাহিম ও জাহাঙ্গীর দুজনই রোহিঙ্গা। সেখানে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছে না। পরদিন দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। মুক্তিপণ না দিলে তাদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের মোহাম্মদ কাছিমের ছেলে। তার সহযোগী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বাড়িও সেখানে। তারা দুজনই বাতিঘর কটেজের বয় হিসেবে কর্মরত।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলিম বলেন, হ্নীলা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে রামুর চার ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির খবর পেয়েছি। অপহৃত ছাত্রদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম