জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের সময় এজলাসে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে দুপুর ২টার পর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আওয়ামী ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোল শুরু হয়। এসময় বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান।
এদিন সাক্ষ্য দিতে এ মতিন অ্যান্ড কোং এর চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টিং এ কে আব্দুল মতিন আদালতে উপস্থিত হয়েছেন।প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এজলাসে হট্টগোল চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আইনজীবী জানান, সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এজলাসের ভেতরে ছবি তোলা কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। এসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের কয়েকজন বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এরপর আদালতের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এদিকে আদালতের বাইরে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আদালতে এ অচলাবস্থা চলমান রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় ইকবাল মান্দ বানুকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক। গত ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ