জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এই মামলায় ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্য দেন দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। তার সাক্ষ্য শেষ হওয়ায় আগামী ২৭ জুলাই মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। আইন অনুযায়ী যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হবে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা। এতে তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে
ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া মামলায় আসামি করা হয় তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে।
এরপর ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। এ মামলায় ইকবাল মান্দ বানুকে মামলা হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি