বাংলা৭১নিউজ, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে চলতি মৌসুমে (ডিএপি) সারের সঙ্কট দেখা দেয়ায় আলু চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। স্থানীয় আলু চাষিদের আশঙ্কা দু’চার দিনের মধ্যে ডিএপি সার পাওয়া না গেলে আলু চাষ ব্যাহত হবে। আলু চাষের অন্যতম উপকরণ ডিএপি সার এই সার ব্যতিত আলু চাষ করা অনেকটা কঠিন। অনেক আলু চাষি প্রায় এক সপ্তাহ আগে জমিতে চাষ দিয়ে বসে রয়েছে ডিএপি সারের অভাবে আলু বীজ রোপণ করতে পারেনি বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে ডিএপি সারের সঙ্কট নিয়ে কৃষিবিভাগ ও কৃষকের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে, কৃষি বিভাগ বলছে গত নভেম্বর মাসের বরাদ্দের বেশি ডিএপি সার উত্তোলন করা হয়েছে, তবে আলু বেশি হওয়ায় ডিএপি সার নিয়ে সাময়িক সমস্যা হয়েছে দু’চার দিনের মধ্যে ডিসেম্বর মাসের বরাদ্দকৃত সার উত্তোলন করা হলে সমস্যা থাকবে না। অন্যদিকে কৃষকদের অভিযোগ একশ্রেণীর ডিলার অধিক মুনাফা লাভের আশায় ডিএপি সারের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে কালোবাজারে বেশি দামে সার বিক্রি করছে। এছাড়াও কিছু মৌসুমি আলু চাষি শত শত বিঘা জমিতে আলুর চাষ করছে, তারা কৌশলে ডিলারদের কাছে থেকে ডিএপি সার হাতিয়ে নেয়ায় সারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে প্রচার রয়েছে।
তানোরের সরনজাই ইউপির নাম প্রকাশে অচ্ছিুক একাধিক আলু চাষি অভিযোগ করে বলেন, সরনজাই ইউপির বিআইসি ডিলার মেসার্স আঞ্জুয়ারা টেড্রার্স এখন পরিচালনা করছেন বায়া বাজারের সার ব্যবসায়ী ও প্রসিদ্ধ আলু চাষি আব্দুর রাজ্জাক, তিনি আলু চাষের জন্য নভেম্বর মাসে সরনজাই ইউপির বরাদ্দের সব ডিএপি সার কৌশলে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। তারা বলেন, মাস্টাররোল অনুযায়ী কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বললে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। এব্যাপারে তানোর উপজেলা বিআইসি সার ডিলার সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ আলী বাবু বলেন, তানোরে ডিএপি সারের কোনো সঙ্কট নাই, গত নভেম্বর মাসে বরাদ্দের বেশি ডিএপি সার তানোরে এসেছে। তিনি বলেন, তানোরে লক্ষ্যমাত্রার বেশি জমিতে আলু চাষ করায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে তবে তাকে সঙ্কট বলা যাবে না। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মুঠোফোনের লাইন ব্যস্ত করে রাখায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস