বাংলা৭১নিউজ, মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৈয়েল হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনের জের ধরে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কৈয়েল হাটে এমারপিটের ঘটনা ঘটে। মারপিটে কৈল পূর্বপাড়া গ্রামের সারোয়ার ও কছির উদ্দিন আহত হয়েছে এদেরকে প্রাথমিক ভাবে এলাকায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
মারপিটের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। এঘটনায় উভয়গ্রুপের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা সেই সাথে উভয় গ্রুপের মধ্যে যে কোন সময় রক্তখয়ীর মত সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী।
এলাকাবাসী জানায়, চলতি মাসের ২রা আগস্ট বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কৈয়েল হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । নির্বাচনে অংশ নেন কৈয়েল কলেজের অধ্যাক্ষ মিজানুর গ্রুপের ওয়াহেদ মাস্টার আজাহার আলী ও মুসলেম উদ্দিন । সারোয়ার গ্রুপের অংশ নেন তিনিসহ মোশারফ ও মিরাজ উদ্দিন। অবশ্য নির্বাচনে অধ্যাক্ষের গ্রুপ বিজয় অর্জন করলেও সারোয়ার গ্রুপের তিনি ছাড়া সকলেই পরাজিত হয়। গত বৃহস্পতিবারে ভোট হয় শান্তিপূর্ণ ভাবে । ভোটের পরের দিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কৈল হাটে চা খেতে আসেন সারোয়ার ও কছির উদ্দিন ।
এসময় অধ্যাক্ষ মিজানুরসহ তার গ্রুপের সেলিম মুকুল আজাহারসহ বেশ কিছু ব্যাক্তি সারোয়ার ও কছির উদ্দিন কে বেধড়ক পেটাতে থাকে । তাদের কে বেধড়ক পিটুনিতে তাঁরা মাটিতে পড়ে চিৎকার করা শুরু করলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়।
সারোয়ার ও কছির জানান, নির্বাচনে আমাদের গ্রুপ হেরে যায়। শুক্রবার সকালের দিকে বাজারে চা খেতে আসামাত্র কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই অধ্যাক্ষ মিজানুরের নেতৃত্বে আমাদেরকে বেধড়কভাবে মারপিট করেন। স্থানীয়রা উদ্ধার না করলে হয়তো প্রানে মেরে ফেলত ।
এ নিয়ে কৈয়েল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে । আমি এলাকায় নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকেলের দিকে মু-ুুমালায় এসে শুনলাম মারপিটের ঘটনা। সেখানে পুলিশও অবস্থান করছেন বলে লোকজন আমাকে জানায় । তবে পূর্ব শুক্রতার যেরেই মারপিট হতে পারে বলে জানান তিনি ।
এ বিষয়ে কৈয়েল হাট আদর্শ কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। আমাকে আপনারা এ নিয়ে কোন প্রশ্ন করবেনা বলে তার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোনটি কেনদেয়।
এনিয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, শুনেছি কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে এঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত বলে জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস