দলের একটি সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া চিঠির একটি আনুষ্ঠানিক জবাব দিতে পারে বিএনপি।
বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে তাঁরা পরিকল্পনা তৈরি করবেন এবং পদক্ষেপ নেবেন।
বিএনপির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, রবিবার রাতে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।
বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, তফসিল-পরবর্তী কর্মসূচি জোরালোভাবে পালনের বিষয়ে কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। এত দিন দল ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকে আত্মগোপনে ছিলেন। এখন তাঁদের প্রকাশ্যে আসার মানসিকতা তৈরি করার কথা বলেছেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আজ বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা। আর আজ থেকে পঞ্চম দফায় বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে। এ অবস্থায় তফসিল ঘোষণা হলে বিএনপির আন্দোলনের গতি কোন দিকে যাবে তাও পরিষ্কার হবে। রাজনীতিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক মেরুকরণও শুরু হবে তফসিল ঘোষণার পর।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আন্দোলন যে পর্যায়ে গেছে, জনগণ যেভাবে আন্দোলনকে সমর্থন দিচ্ছে তাতে তফসিল ঘোষণার পর মানুষ নিজ থেকেই রাস্তায় নেমে আসবে।
যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি নিয়ে যা ভাবছে বিএনপি
যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি পাওয়ার পর গত দুই দিনে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁরা মনে করেন, শুধু সংলাপের উদ্দেশ্যেই এই চিঠি দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগ মুহূর্তে এ চিঠি দেওয়ার বিশেষ তাৎপর্য আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, সংলাপ কিন্তু শুধু সংলাপের জন্য নয়। গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় এর একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এবং সেটি বাস্তবে অর্জন করতে হলে তার জন্য দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি হচ্ছে, একটি অনুকূল পরিবেশ। অন্যটি হচ্ছে, পারস্পরিক আস্থা। বাংলাদেশে আজ এই দুটিই সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। কাজেই অর্থবহ সংলাপ করতে হলে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যে মামলায় জেলে পুরে রেখে তা সম্ভব নয়।
মঈন খান বলেন, ‘এই মুহূর্তে সরকার তড়িঘড়ি করে একদলীয় নির্বাচনের মানসে একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করলে তা শুধু সংলাপের সম্ভাবনাকে দূরীভূত করবে না, বরং দেশের সার্বিক রাজনীতির পরিবেশকেও অনেক বেশি উত্তপ্ত করে তুলবে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ