বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে সরকার তত বেপরোয়া হয়ে উঠছে। যাতে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং রমজানের আগে নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে নাগরিক আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, এই কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। দুই সিটিতে সরকারি দলের লোকজন আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। কিন্তু কমিশন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি। তফসিল ঘোষণার আগে কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে এমন কাউকে কমিশনে আনতে হবে। তারা যা করছে সরকারি দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য আর আমাদের প্রার্থীকে পরাজিত করার জন্য।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এমনভাবে পরিকল্পনা করছে যাতে আমরা নির্বাচনে যেতে চাইলেও যেতে না পারি। সেখানে সরকারি দলের লোকজনকে সুবিধা দেওয়ার জন্য তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য। আমার নির্বাচনী এলাকা, আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। আমাদের অনেক নেতার আসনের বেলায় এমন পক্ষপাতিত্ব করেছে নির্বাচন কমিশন।’
তিনি বলেন, ‘নোয়াখালী-৫ আসনে যোগাযোগমন্ত্রী (সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী) বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। রাজনৈতিক কারণে আমার আসনটি কেটে নেওয়া হয়েছে অন্য নির্বাচনী আসনে।’
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে, নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে, নিজেদের পছন্দমতো সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এই ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি চাই। কিন্তু আগামী নির্বাচনে সরকারের এই ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা হাজি মোহাম্মদ মাসুক মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস