বাংলা৭১নিউজ,বগুড়া প্রতিনিধি: কৃষি নির্ভর উত্তরবঙ্গে দীর্ঘদিন থেকেই বাণিজ্যিক ভাবে সবজির চাষ হয়ে আসছে। উত্তরের জেলা গুলোর মধ্যে বগুড়ায় সবচেয়ে বেশী সবজি চাষ ও উৎপাদন হয়। বিশেষ করে বগুড়ার কৃষকরা আলু, মরিচ, মুলা, লাউ, করলা, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, বরবটি, ফুলকপি, বাধাঁকপি, ঢ়েঁড়স সবজি চাষ করে আসচ্ছে। এখানের সবজির স্বাদ ই আলাদা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা’সহ সারা দেশে সবজির চাহিদা পুরন করে চলছে এবং দেশের বাইরেও এখন রপ্তানী হচ্ছে।
বগুড়ার গাবতলী নাড়ুয়ালা ইউনিয়নের আলতার বাজার, মধ্যকাতুলী, জংবাংলা, তেতুলগাছি, মেঘাগাছা ও বগুড়া সদরের সন্ধাবাড়ী, মানিকচক, পাঁচবাড়ীয়া, কদিমপাড়া, সাবগ্রাম, চালিতাবাড়ী এবার উল্লেখ্যযোগ্য হারে ঢ়েঁড়সের চাষ হয়েছে। স্থানীয় জাতের ফলন কম হওয়ায় এবার কৃষক লাল তীর সীড লিঃ উদ্ভাবিত ও বাজারজাতকৃত হাইব্রীড ঢ়েঁড়স ‘আশা’ চাষের দিকে ঝুকে পড়েছে। কৃষকের মাঠ জুড়ে এখন শুধু আশা ঢ়েঁড়স ক্ষেত। এ বছরে বাম্পার ফলন ও ভাল দাম পাওয়ায় কৃষক পরিবার গুলো খুব খুশি।
গাবতলী মধ্যকাতুলী গ্রামের আর্দশ চাষি হেলাল উদ্দিন ২০শতাংশ জমিতে এবার হাইব্রীড ঢ়েঁড়স ‘আশা’ বীজ বপন করেন। বীজ বপনের ৪৫দিন পর প্রথম ফল সংগ্রহ করেন এবং প্রথম দিকে সে প্রতিমন ঢ়েঁড়স ২২শ টাকা থেকে ২৩শ টাকায় পাইকেরি দরে বিক্রি করেন। বীজ, সার, বালাইনাশক ও আন্তঃপরিচর্যা সহ মোট ১২ হাজার ৫শ টাকা ব্যয় হলেও এপর্যন্ত তিনি ৬০মন ঢ়েঁড়স বিক্রি করে প্রায় ৮০হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।
তিনি আরো ৬০হাজার টাকা ঢ়েঁড়স বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।তিনি উল্লেখ করেন ৪৫দিন বয়সে ফল পাওয়া যায়। গিট ঘন ও প্রতি গিটেই ফল ধরে তাই ফল উঠাতে ভাঙ্গে না। ভাইরাস নাই ও মাঝারি আকারের হওয়ায় বাজারে নিয়ে গেল সবার আগে বিক্রি করা সম্ভাব।
উল্লেখ্য, এবছরে গাবতলী উপজেলায় প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে ঢ়েঁড়স চাষ করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসই