পরিকল্পনায় বহুদূর এগিয়ে থাকলেও বাস্তবায়নে বেশ পিছিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন। সামগ্রিক ২৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে গ্রিড-সংযুক্ত সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন মাত্র ৯৫ মেগাওয়াট।
সরকারের বর্তমান পরিকল্পনা বলছে, ৪০ ভাগ চাহিদা মেটানো হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। আগে ছিল লক্ষ্য ছিল ১০ ভাগ। কিন্তু পিডিবির উৎপাদন বণ্টন-চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। নেট মিটারিং-এর আওতায় কিছু কারখানার ছাদে প্যানেল বসানো হয়েছে। সেটাকেই আপাতদৃষ্টিতে ‘সফলতা’ বলা হচ্ছে। কিন্তু উৎপাদনের করুণ চিত্র ম্লান করছে ওই ‘সাফল্য’কে।
এখন পর্যন্ত পরিকল্পনায় থাকা ২১টি কেন্দ্রের মধ্যে উৎপাদনে এসেছে মাত্র ৬টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এগুলো হলো- টেকনাফের জুলহাস পাওয়ার লিমিটেডের ২০ মেগাওয়াট, পঞ্চগড়ের পেরাসোল এনার্জি লিমিটেডের ৮ মেগাওয়াট, কাপ্তাইয়ের পিডিবির ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট, জামালপুরের এনগ্রিন সরিষাবাড়ির ৩ মেগাওয়াট, ময়মনসিংহের মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ প্রতিষ্ঠান এইচডিএফসি সিনপাওয়ার লিমিটেডের ৫০ মেগাওয়াট এবং সিরাজগঞ্জের নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট।
এখনও তেমন অগ্রগতির খবর দিতে পারেনি পিপিএ সাক্ষর করা আরও ৮টি কোম্পানি। এরমধ্যে আছে সুনামগঞ্জের হাওড়বাংলার ৩২ মেগাওয়াট, রংপুরের ইন্ট্রাকো সিএনজি লিমিটেডের ৩০ মেগাওয়াট, গাইবান্ধার বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানির ২০০ মেগাওয়াট, লালমনিরহাটের গ্রিন হাউজিং অ্যান্ড এনার্জি লিমিটেডের ৫ মেগাওয়াট, সিলেটের সান সোলার পাওয়ারের ৫ মেগাওয়াট, মানিকগঞ্জের স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেডের ৩৫ মেগাওয়াট, বাগেরহাটের এনারগোন টেকনোলজিস-এর ১০০ মেগাওয়াট, পঞ্চগড়ের বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের ৩০ মেগাওয়াট কেন্দ্র।
এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনে আসার সময়সীমা ইতোমধ্যে পার হয়েছে।
এর বাইরে আরও ৩৮৩ মেগাওয়াটের ৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো কবে চালু হবে তা জানাতে পারেনি কেউ।
জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, সৌরবিদ্যুতের বড় সমস্যা হচ্ছে জমির সংস্থান। অর্থ সংস্থানও আছে। এই দুটোর জন্য অনেকেই এখনও কাজ শুরু করতে পারেনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ