বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী জামিন আবেদন নাকচ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন মাসুদ আলম ওরফে মাসুদ ও আবু সাঈদ ফজলে রাব্বির ওরফে সিয়াম। এ ছাড়া মামলার অপর দুই আসামি বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন। এরা হলেন রাকিবুল হাসান ওরফে রাকিব ও আলী হোসেন শেখ ওরফে আলী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এর আগে চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল এ মামলায় ওই চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরমধ্যে দুজনের রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠান হল। আর রাকিবের রিমান্ড শেষ হবে আজ বৃহস্পতিবার এবং আলীর রিমান্ড শেষ হবে শুক্রবার।
আদালত সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২টার মধ্য শতাধিক মুখোশধারীরা উপাচার্যের বাড়িতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, পাইপ, হেমার, লাঠি ইত্যাতি নিয়ে উপাচার্যের বাড়ির ওয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। দুষ্কৃতকারীরা ঐতিহ্যবাহী ভবনে সংরক্ষিত মূল্যবান জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যানসহ সকল মালামাল ভাঙচুর করে। ভবনে রক্ষিত দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
ভবনে রক্ষিত সিটি ক্যামেরা ভাঙচুর করে ও আলামত নষ্টের জন্য কম্পিউটারে রক্ষিত ডিভিআর পুড়িয়ে দেয়। এতে কমপক্ষে দেড়কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের মামলা করেন। বর্তমানে ডিবির এএসপি ফজলুল হক এ মামলাটি তদন্ত করছেন।
এ ছাড়া একই সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের রাস্তা বন্ধ করে টায়ার ও আসবাবপত্র জালানোসহ নাশকতা সৃষ্টি এবং পুলিশকে মারধরের ঘটনায় আরও তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। তবে কোনো মামলার এজাহারেই আসামির নাম উল্লেখ নেই। অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিটি মামলাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস