বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় চার আসামির বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার চার আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রায়হান উল ইসলাম আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডের ওই আদেশ দেন। আসামিদের মধ্যে রাকিবুল হাসান ওরফে রাকিবের ৪ দিনের, আলী হোসেন শেখ ওরফে আলীর ৩ দিনের এবং মাসুদ আলম ওরফে মাসুদ ও আবু সাঈদ ফজলে রাব্বির ওরফে সিয়ামের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি রাকিব হাসান ও আলীর কাছ থেকে উপাচার্যের বাড়ি ভাঙচুরের সময় সিকিউরিটি গার্ডের দুটি মোবাইল খোয়া যায়। সেই দুটি মোবাইল রাকিব হাসান ও আলীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটনে আসামিদের রিমান্ড নেয়া জরুরী।
আদালত সূত্র জানায়, চলতি মাসের ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২টার মধ্য শতাধিক মুখোশধারীরা উপাচার্যের বাড়িতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, পাইপ, হেমার, লাঠি ইত্যাতি নিয়ে উপাচার্যের বাড়ির ওয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। দুষ্কৃতকারীরা ঐতিহ্যবাহী ভবনে সংরক্ষিত মূল্যবান জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যানসহ সকল মালামাল ভাঙচুর করে। ভবনে রক্ষিত দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
ভবনে রক্ষিত সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে ও আলামত নষ্টের জন্য কম্পিউটারে রক্ষিত ডিভিআর পুড়িয়ে দেয়। এতে কমপক্ষে দেড়কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের মামলা করেন। এ ছাড়া একই সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের রাস্তা বন্ধ করে টায়ার ও আসবাবপত্র জালানোসহ নাশকতা এবং পুলিশকে মারধরের ঘটনায় আরও তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। তবে কোনো মামলার এজাহারেই আসামির নাম উল্লেখ নেই। অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিটি মামলাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা হয়। বর্তমানে ডিবির এএসপি ফজলুল হক।
বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ