মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মেট্রোরেল লাইনের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ গাজায় তীব্র শীতে মারা যাচ্ছে একের পর এক শিশু টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো শাকিব খানের ঢাকা জিমি কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু : প্রধান উপদেষ্টা ঈশ্বরদীর সাবেক মেয়র ঢাকায় গ্রেপ্তার পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর হলেন তারিক, ৮ এসপিকে বদলি তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধনী খামে প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে তিন অভিবাসীর মৃত্যু মঙ্গলবার ব্যাংক হলি ডে, লেনদেন বন্ধ রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জিয়া পরিষদের ফুলেল শুভেচ্ছা বাণিজ্য মেলা শুরু বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে মঙ্গলবার সীমান্তের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত পাকিস্তানের পাঞ্জাবে দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৮ মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ঝড়, বড় স্কোর তাড়া করে শুভ সূচনা বরিশালের সাবেক আইজিপি মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ কৃষক বিদ্রোহে অচল পাঞ্জাব, ২০০ ট্রেন বাতিল মামলা বাণিজ্য শুরু হয়েছে: আসিফ নজরুল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মাইকেল চাকমার অভিযোগ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা

ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি ও পোষ্য কোটা বাতিলে আইনি নোটিশ

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা ও খেলোয়াড় কোটা বাতিলে লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ই-মেইলে এই নোটিশ পাঠান।

ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার ছাড়াও নোটিশে আরও যাদের নাম উল্লেখ আছেন তারা হলেন- ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন ও অ্যাডভোকেট শাহেদ সিদ্দিকী। এ আইনি নোটিশে বিবাদী করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি (প্রশাসন), প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ও রেজিস্টারকে।

নোটিশ পাওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এক শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এক শতাংশ কোটা বহাল রেখে বাকি সব কোটা বাতিল করতে বলা হয়েছে। নোটিশ গ্রহীতারা ব্যবস্থা না নিলে সুপ্রিম কোর্টে রিটসহ বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানে হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা সব গণতান্ত্রিক ও অধিকার রক্ষার আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়।

এতে আরও বলা হয়, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া অবশ্যই মেধার ভিত্তিতে হতে হবে। অন্য কোনো মানদণ্ডে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সাধারণত বৈষম্যমূলক, স্বেচ্ছাচারী এবং অযৌক্তিক। কোনো বৈধ রাষ্ট্রীয় উদ্দেশ্যের সঙ্গে এর যৌক্তিক সম্পর্ক নেই।

দেশের সর্বোচ্চ আদালত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও এই রায় প্রয়োগ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি, নাতনি কোটায় ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি করা সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ (০৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নারী বা শিশুদের অনুকূলে বা নাগরিকদের যে কোনো অনগ্রসর অংশের উন্নতির জন্য বিশেষ বিধান করা যেতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েরা সে মানদণ্ড পূরণ করে না। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়ে, শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় ওয়ার্ড/পোষ্য কোটায় এক শতাংশ সংরক্ষণ করা বৈষম্যমূলক, স্বেচ্ছাচারী ও অযৌক্তিক, যার সঙ্গে কোনো যৌক্তিক সম্পর্ক নেই।

নোটিশে বলা হয়, খেলোয়াড়দের কোটায় ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া খেলোয়াড়দের কোটা সংবিধানে সংজ্ঞায়িত পশ্চাদপদ বিভাগের অধীনে পড়ে না। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় ক্রীড়াবিদদের জন্য বিশেষ কোটাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি। এছাড়া খেলোয়াড় কোটায় স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতি কোটায় ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের ভর্তিতে সুযোগ রাখাটা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পরিপন্থি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য পোষ্য কোটা সংরক্ষণ রাখাটা সরাসরি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। খোলোয়াড় কোটায় স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে। এ কারণে এসব কোটা বাতিলের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে হাইকোর্টে রিট দায়েরসহ অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com