বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফের বাচ্চা চুরির অভিযোগ উঠেছে। এবার খাদিজা নামে তিন মাসের একটি বাচ্চাকে কৌশলে নিয়ে পালিয়ে যায় এক নারী। এর আগেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে নানা দেনদরবার হলেও শিশু চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না।
একটি সূত্র বলছে, বেশ কিছু দিন ধরেই একটি চক্র ঢাকা মেডিকেলে সক্রিয় রয়েছে। শিশু খাদিজার মা নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমার ব্রেন টিউমার ধরা পরার পর গত আড়াই মাস ধরে আমি হাসপাতালের ২০০ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসা নিচ্ছিলাম। তিন মাস বয়সী শিশুটি আমার সঙ্গেই হাসপাতালে থাকতো। ভর্তির পর থেকেই এক মহিলা নানা সময়ে আমাকে সাহায্য-সহযোগিতা করতো। এটা-সেটা এগিয়ে দিতো। অবসর সময়ে আমাদের সঙ্গে গল্প-গুজব করতো। মহিলাকে হাসপাতালের লোকই মনে হতো আমাদের কাছে। শিশুটিকেও কোলেও নিত। মহিলা অনেকটা আমারে পরিবারের আপন হয়ে উঠেছিল।’ নাছিমা বেগম বলেন, ‘কী থেকে যে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।’
নাছিমা বেগমের সঙ্গে তার চুরি যাওয়া সন্তান খাদিজা, তার স্বামী বাহাদুর ঢালী ও ১০ বছরের মেয়ে ঝর্ণা থাকতো। আজ বিকালে হাসপাতালের ২০০ নম্বর রুমে খাদিজার সঙ্গে ঝর্ণাও ছিল। খাদিজা ও ঝর্ণকে রেখে নাছিমা বেগম রুমের বাইরে যায়। এমন সময় ঐ মহিলা আমার রুমে ঢুকে এবং নতুন কাপড় কিনে দেয়ার কথা বলে খাদিজাকে কোলে করে ঝর্ণাকে নিয়ে হাসপাতালের বাইরে যায়। পরে ওই মহিলা ঝর্ণাকে জুস কিনে দিয়ে কৌশলে খাদিজাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। নাছিমা বেগমের স্বামীর নাম বাহাদুর ঢালী। বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার কাঁঠালবাড়ি গ্রামে।
জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আমরা খবরটি শুনেছি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি কী করা যায়। শাহবাগ থানা পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেলের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল গণির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বিকাল তিনটা পর্যন্ত মেডিকেলে ছিলাম। আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না । আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। সবশেষে গত মার্চ মাসে বাচ্চা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতালের গেটে আনসার সদস্যদের হাতে ধরা পরে এক নারী। পরে তাকে আটক করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস