বাংলা৭১নিউজ,(বগুড়া)প্রতিনিধি: ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও পশুবাহী ট্রাকের কারণে যানবাহন চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে কচ্ছপ গতি। এতে নাকাল হয়ে পড়েছেন উত্তর ও দক্ষিনবঙ্গগামী ঘরমুখো সাধারণ মানুষ। তবে ঢাকামুখী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
রোববার সকাল ৬টা থেকে এ রোডের মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট ছিল। তবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ধীরগতিতে গাড়ি চলতে দেখা গেছে।
এছাড়া সিরাজগঞ্জের হটিকমরুল মোড় এবং নলকা সেতু দিয়ে গাড়ি ঠিকমত না টানতে পারায় বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজা ছয়বারে সাড়ে ৬ ঘণ্টা বন্ধ করে দেয়া হয়। এ কারণে টাঙ্গাইল অংশে ৪০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার দুপুরে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গগামী লেন অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে পুরোটাই বন্ধ রয়েছে। তবে ৫-১০ মিনিটের জন্য গাড়ি চলাচল করলেও আবার নগর জলফৈ এলাকায় প্রশাসন বন্ধ করে দেন। তবে পুলিশ বলছেন, যানজট মুক্ত রাখতেই এ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তবে এ অবস্থায় সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছে নারী ও শিশুরা। গাড়ি থেকে নেমে নারীরা তাদের প্রাকৃতিক কাজ সাড়তে মহাসড়কের পাশের কোনো বাড়িতে ঢুকে পড়ছেন।একদিকে যানজট অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন তারা।এদিকে এ অবস্থা কাজে লাগাচ্ছেন মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুন দামে সব পণ্য বিক্রি করছেন।
এমনই চিত্র দেখা যায়, নগর জলফৈ বাইপাস মোড়ের বিভিন্ন দোকানে। তারা আধা লিটারের কোমল পানির বোতল বিক্রি করছেন ২৫/৩০ টাকায়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, সিরাজগঞ্জের নলকা সেতুতে গাড়ি টানতে না পাড়ায় টাঙ্গাইল অংশে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আবার অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুতে দীর্ঘ লাইন হয়ে যায়। এজন্য সেতুর পর থেকে চাপ কমাতে থেমে থেমে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ঘরমুখো মানুষদের নিরাপদে বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ফিটনেস বিহীন গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এছাড়াও তিনিসহ (জেলা প্রশাসক) উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলা৭১নিউজ/পিআর