বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ডেসকোর আওতাধীন এলাকাসমূহে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ চলে আসছে। মিরপুর, এয়ারপোর্ট, গুলশান, বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোন এবং টঙ্গী এলাকায় আংশিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে।
ঢাকা ও আশপাশে এসেছে বিদ্যুৎ
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এমন তথ্য জানিয়েছে।
ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘এরইমধ্যে ২০৮ মেগাওয়াট লোড পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে হাসপাতাল এবং জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। দ্রুততম সময়ে সব এলাকায় বিদ্যুৎ রিস্টোর করতে নিরলস কাজ করছেন বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলীরা।’
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে বিদ্যুৎ রিস্টোর হচ্ছে। এরইমধ্যে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, মানিকগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে এবং ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জের আংশিক এলাকায় সরবরাহ চালু হয়েছে। হেভি লোডে রিস্টোর ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সিস্টেমের স্ট্যাবিলিটি মোটামুটি সন্তোষজনক হলে ঢাকার সব এলাকার বিদ্যুৎ লাইন সচল করা হবে।’
এদিকে, চার ঘণ্টা পর প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের একাংশে বিদ্যুৎ এসেছে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে সচিবালয়ের ফটক এবং বাইরের দেয়ালে বাতি জ্বলতে দেখা গেছে। তবে ভেতরের ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহ তখনও স্বাভাবিক হয়নি। বিদ্যুৎ ভবনে বিকেল ৫টা ৪২ মিনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। এ ভবনের ভেতরেও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।
এছাড়া উত্তরা, গুলশান, বারিধারা ও মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে।
জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলে (যমুনা নদীর এপার) বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিলে দুপর ২টা ৫ মিনিটে একযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস